শীতকালে ত্বক কোমলও আকর্ষণীয় রাখার উপায়। শীতে ত্বকের রুক্ষতা দূর করার উপায়

শীতকালে-ত্বক-কোমলও-আকর্ষণীয়-রাখার-উপায়-1

ত্বক আজকাল কম বেশি সকলের শুষ্ক হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শরীরে এই ধরণের পরিবর্তন হয়। শীতকালে এই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। তৈলাক্ত ত্বকেও তখন এই সমস্যাটা দেখা যায়। আর যাদের ত্বক এমনিতেই রুক্ষ, শুষ্ক তারা এমনেই এই ত্বক শুষ্কতার সমস্যায় ভোগে। তবে ত্বকের যত্ন নিলে এই ত্বক শুষ্কতার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে। ত্বক শুষ্ক হলে ত্বক ফেটেও যায়। তবে আবার অনেকের জন্মগত কারণেও ত্বক ফাটে। শীতকালে ঠান্ডা বাতাস, সূর্যের আলো বেশি আর আদ্রতা বেশি এর কারণে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যায়।আবার অনেকের কাজের কারণে ও ত্বক ফেটে যায়। ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

আসুন জেনে নেই ত্বক শুষ্কতা দূর করার উপায় 

১।ত্বক শুষ্কতা থেকে দূর করার জন্যে আগে ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তবে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে হবে না। যেই জায়গায় ময়শ্চারাইজার লাগাবেন আগ্র সেই জায়গা টি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোষগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।

শীতে ত্বকের রুক্ষতা দূর করার উপায়

শীতে-ত্বকের-রুক্ষতা-দূর-করার-উপায়

২।পানি বেশি পরিমাণ পান করবেন। কেননা টান্ডা বাতাস আর আদ্রতা আমাদের শরীর থেকে পানি শোষণ করে ফেলে। এই পানি শোষণের ফলে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়। তাই বেশি বেশি পানি পান করুন। এতে পানির যে অভাব দেখা দেয় তা পূর্ণতা দেখা দিবে।

মুখের খসখসে দূর করার উপায়

মুখের-খসখসে-দূর-করার-উপায়

৩।যাদের চর্মরোগ রয়েছে অর্থাৎ একজিমা,ইকথায়সিস,সোরিয়াসিস তাদের উচিত ত্বক শুষ্কতার ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে। কেননা যাদের এই সমস্যা গুলো রয়েছে তাদের ত্বক শুষ্কতা বেশি হয়। তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ক্রিম ব্যবহার করা।যাতে ত্বকের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়।

৪।যাদের শরীরের ও বিভিন্ন ত্বক ফেটে যায় তারা গোসলের আগে পুরো শরীরে অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এছাড়া ত্বকের যে অংশে ফেটে গেছে বেশি সেখানে অলিভ অয়েল দিয়ে আরো ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপরে ভালোভাবে গোসল করে ফেলুন।

ত্বক কোমল করার উপায়

ত্বক-কোমল-করার-উপায়

৫।ত্বকের যে অংশে ফেটে যায় সেখানে কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন। যে অংশে ত্বক ফাটা বেশি সেখানে নারকেল তেল দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে পারবেন। এছাড়া ফাটা অংশে এলোভেরা জেল এর সাথে মধু মিশিয়ে ফাটা অংশে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিন। এর পর ভালোভানে ধুয়ে ফেলুন।

শীতকালে-ত্বকের-যত্নে-নারিকেল-তেল

৬।ত্বক শুষ্কতা দূর করতে আরেকটা কাজ করতে হবে সেটি হলো ত্বকের মরা কোষ দূর করতে হবে। কেননা মরা কোষ দূর না করলে ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগালে সেখানে ত্বক ফাটার সমস্যা সমাধান হবেনা। এক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া পদ্ধতু অবলম্বন করুন। ১টেবিল চামচ লেবুর রস এর সাথে ১টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে সাথে টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। এটি মুখে এমনকি সারা শরীরে ২ থেকে ৩ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে পারেন। এরপরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

শীতে ত্বকের রুক্ষতা দূর করার উপায়

৭।ত্বক শুষ্কতাতে ঠোঁট ফাটে বেশি। তাই ঠোঁটের ও আলাদা করে যত্ন নিতে হয়। ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে লেবুর রস আর মধু নিয়ে একসাথে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁট ফাটা দূর হবে। এছাড়া ঠোঁটের উপরে কুসুম গরম পানি দিয়ে ৩থেকে ৪বার চাপ দিন। তারপরে ভ্যাসলিন অথবা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।

শুষ্কতা দূর করার উপায়

৮।শীতকালে ত্বক ফাটার জন্যে যারা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করেন তাদের আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। অর্থাৎ যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় পানি ব্যবহার করবেন। আর যাদের ব্রণের বেশি সমস্যা তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। আর অনেকে মনে করেন শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত না।এই ধারণা ভুল। তাই অন্তত কোথাও বাইরে বের হওয়ার আগে সান্সক্রিম ব্যবহার করুন।

উপরের কয়েকটি সহজ পদ্ধতি দেখানো হলো এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে সহযে আপনি ত্বক শুষ্কতার যত্ন নিতে পারবেন। শুধু নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।