মাত্র ১৫ দিনে ওজন বাড়াতে এই সহজ নিয়ম গুলো মেনে চলুন

দ্রুত-ওজন-বাড়ানোর-শতভাগ-কার্যকরী-উপায়

আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো সেটি হল কিভাবে আপনারা মাত্র ১৫ দিনে ওজন বাড়াতে পারবেন।

বন্ধুরা আমরা অনেকেই লক্ষ্য করেছি আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার পরেও নিজের চাহিদা মতো ওজন বাড়াতে পারছেনা। আবার অনেকে এমন আছে যারা পরিমাণের তুলনায় কম খাওয়ার পরেও অনেক মোটা হয়ে যায় অর্থাৎ ওজন বেড়ে যায়।

দ্রুত-ওজন-বাড়ে-কি-খেলে

এর মধ্যে কি কোন জ্বিনগত কোন সমস্যা আছে, নাকি শারীরিক কোন সমস্যা….?

হ্যাঁ বন্ধুরা,

সাইন্স এটা বলে যে, মানুষের মধ্যে ওজন ব্যালেন্স করার জন্য APOA-2 নামক একটা জ্বিনের উপস্থিতি থাকে। যে জ্বিন টা  ব্যালেন্স এর মধ্যে থাকলে আমরা আমাদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়াতে পারি। স্বাভাবিক মানুষের জন্য এটা কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু  জ্বিনের অস্বাভাবিক আচরনের জন্য কিছু মানুষের স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার পরেও ওজন বাড়াতে পারে না।

মোটা-হওয়ার-খাদ্য-তালিকা

এই জন্য তাদের উচিত স্বাভাবিক মানুষ যে পরিমাণ খাবার খায় তার চেয়ে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা। যদি তারা তাদের ওজন বৃদ্ধি করতে চায়।

এখন, এক্ষেত্রে একটা সমস্যা আমরা কি কোন ক্লিনিকে গিয়ে চেক করব ?

যে আমার জ্বিনগত কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা।

প্রিয় বন্ধুরা,

এর কোন দরকারই নেই আমরা যখন দেখব নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়ার পরেও আমাদের ওজন টা বাড়ছে না, তখনই আমরা বুঝব যে আমার শরীরের উপর জিনের উপস্থিতি ফল্ট্রি করতেছে তাই আমাদের উচিত স্বাভাবিক মানুষ যে পরিমাণ খাবার খায় তার তুলনায় একটু বেশি করে খাবার খেতে।

এক-মাসে-৫-কেজি-ওজন-কমানোর-ডায়েট-প্লান

কিন্তু বন্ধুরা,

খাবার বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়। সেটা হলো আমরা চাইলেও আমাদের ডেইলি রুটিন হুট করে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে পারি না। আমরা যদি এই ধরনের পরিবর্তন এনেও থাকি সেটা দুই বা তিন দিনের বেশি কার্যকর হয় না।

ওজন কমানোর উপায়

কারণ যেকোন  দ্রুত পরিবর্তনে আমাদের মেন্টাল সাপোর্ট নাও থাকতে পারে। তাই এক্ষেত্রে আমাদের উচিত আমাদের খাদ্যভ্যাস এভাবে পরিবর্তন করা, যাতে আমাদের মাইন্ড বুঝতে না পারে কিভাবে এই ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে।

আপনাদের সাথে আমি এখন আমার অভিজ্ঞতা এবং ডাক্তারের পরামর্শমত কথাগুলা শেয়ার করব।

রক্তনালীর-সংকোচন

বন্ধুরা ………

ডাক্তার এক্ষেত্রে বলেন……  আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে চায় তাহলে সেই পরিবর্তনটা হবে ধীরে ধীরে। অর্থাৎ হুট করে পরিবর্তন না এনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনা।

যেমন আমরা যদি আগে আমাদের সকালের নাশতাতে একটা রুটি খায়, তাহলে নতুন রুটিনে আমরা সেখানে আরেকটা রুটি যোগ করবো।

এর পরে ডাক্তার আর একটা যে বিষয়, আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, সেটা হল খাবারের প্লেট চেঞ্জ করা আমরা যদি আগে ছোট প্লেটে খাবার  খেতাম তার তুলনায় একটু বড় প্লেট যদি আমরা এখন খাদ্যাভ্যাসে যোগ করি

তাহলে সেটা আমাদের মাইন্ড কে সেটিসফাই করে অর্থাৎ একটা ছোট প্লেটে যখন আমরা আগে খেতাম  অল্প নিলেও আমাদের পেট ভরে যায় তার মানে হলো আমাদের মানসিক খিদা  চলে যায়।

এখন নতুন রুটিনে আমাদের করতে হবে ছোট প্লেটের  জায়গায় বড় প্লেটে বেশি পরিমাণ খাবার নিলেও আমাদের কম পরিমাণ খাবার মনে হয় ,এতে করে আমাদের মেন্টালিটির সাথে যখন যে বিষয়টি এডজাস্ট হয়ে যায় তখন আমাদের ওই পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে,

অতিরিক্ত-খাবার

তো বন্ধুরা……

এখন বুঝা গেল যে কিভাবে আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে নতুন করে আমাদের নতুন রুটিন যোগ করব।

তাই ঐ সকল বন্ধুদের জন্য আমার অনুরোধ…..

যারা পরিমাণ মতো খাবার খাওয়ার পরেও নিজের ওজন বাড়াতে পারছেনা তারা আমার আজকের এই শেয়ারটি কাজে লাগাবেন।

কিটো-ডায়েট-খাবার-তালিকা

আপনারা আপনাদের আগের খাদ্যাভ্যাসের সাথে এই নতুন খাবার গুলো যোগ করবেন এবং এই নতুন খাবারের ডায়েট চার্ট টা খুব বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনবে না ধীরে ধীরে এই পরিবর্তন আনবে। আপনি যদি আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারেন, তাহলে ইনশাল্লাহ এক মাসের মধ্যে আপনার শরীরে অনেক বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।