ব্রণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ ও প্রতিকার | ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করার উপায়

ব্রণ সাধারণত গাল, কপাল, কাঁধ, বুক, নাক, গলায় হয়ে থাকে। ব্রণ হওয়ার কারণ হিসেবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন যে, হরমোনের পরিবর্তনের জন্যই প্রধাণত ব্রণ-অ্যাকনের মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। 

ব্রনের সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই অনেক ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তাতেও বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অথচ আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে কিছু ঘরোয়া উপায়, যার মাধ্যমে কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই মুক্তি পেতে পারেন ব্রনের হাত থেকে।

ব্রণ হওয়ার কারনঃ

অপর্যাপ্ত ঘুম। স্বাভাবিক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের দরকার। সে যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না যায় তাহলে হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক থাকেনা। আর এই কারণে আমাদের ব্রণ হতে পারে।

মানসিক অবসাদ বা অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ ও চিন্তা ব্রণের আরেকটি প্রধান কারণ। কোন মানুষ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চিন্তা করে মানসিক চাপে থাকে তাহলে তার অবশ্যই ব্রণ হতে পারে।

বয়সন্ধিকালে বা ঋতুস্রাব এর আগে ও পরে ব্রণ হতে পারে। এটা বিভিন্ন হরমোনাল প্রবলেম এর কারনে হয়।

মাথা পরিষ্কার না রাখলে মাথায় খুশকি থেকেও মুখে ব্রণ হতে পারে।

অতিরিক্ত পরিমাণ তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের উৎপাদন বেশি হয়। মাথা পরিষ্কার রাখলে বা মাথায় যদি আমরা বেশি তেল ব্যবহার করি সেটা কোনো কারণে মুখে চলে আসলে আমাদের ব্রণ হতে পারে।

এ ছাড়াও অতিরিক্ত ধুলাবালিতে বের হলে আমাদের মুখে ব্রণ হতে পারে।

 খাবারের কারণে ব্রণ হতে পারে। এলার্জি জাতীয় খাবারে একটু সচেতন থাকতে হবে। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের পর মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ অপরিষ্কার মুখে ব্রনের উৎপাদন বেশি হয়।  কারণ বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে তাই অপরিষ্কার কোনোভাবেই চেহারাকে রাখা যাবে না।

এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখে ব্রণ হতে পারে।

কিভাবে এই ব্রণ দূর করা যায় বা ব্রণের দাগ দূর করা যায়ঃ

যদি কোনো কারণে আমাদের মুখে ব্রণ হয়েও যায় এবং এই মুখে ব্রনের দাগ কিছুতেই কমে না, সে ক্ষেত্রে আমাদের ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিতঃ

যে সকল খারাপ অভ্যাসের কারণে আমাদের মুখে ব্রণ হয় এই সকল অভ্যাস যদি আমরা ত্যাগ করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে ব্রণ আর হবে না।

এলোভেরা মুখের যত্নের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী এবং মুখের বিভিন্ন ধরনের দাগ, রোগ, অথবা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে সাথে সাথে ব্রণের দাগ দূর করতে এলোভেরা দারুন ভাবে কাজ করে।

শুধুমাত্র এলোভেরা সরাসরি মুখে ব্যবহার করা গেলেও এ ধরনের ব্যবহার না করা উচিত। কারণ মানুষের মুখের চামড়া অনেক বেশী সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাই সরাসরি এলোভেরা মুখের ত্বক গ্রহণ করার ক্ষমতা না ও রাখতে পারে তাই আমাদের উচিত বিভিন্ন ধরনের উপকরণ এর সাথে এলোভেরার মিশ্রণ ঘটিয়ে তারপরই মুখে ব্যবহার করা।

এতে করে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জ্বল হবার পাশাপাশি আমাদের ত্বক নরম ও দাগহীন হয়।