বেকিং সোডার ৫টি সেরা উপকারিতা,ব্যবহার ওপার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

একসময় মিশরীয়রা বেকিং সোডাকে সাবান হিসেবে ব্যবহার করতো। অর্থাৎ বিভিন্ন জিনিসের পরিষ্কারক হিসেবে বেকিং সোডার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত।

কিন্তু বর্তমানে আমরা বেকিং সোডা নাম শুনলেই আমাদের একটা কথায় মাথায় আসে, সেটা হলো বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, কেক তৈরি করতে বেকিং সোডা ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদেরকে বেকিং সোডার ভিন্ন কিছু উপকারিতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। যে উপকারিতা গুলো শুনলে বেকিং সোডা সম্পর্কে আপনাদের ধারনাটাই পাল্টে যাবে। 

বেকিং সোডার উপকারিতাঃ

কম দামে পাওয়া এই বেকিং সোডা শুধু যে খাবার তৈরীর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয়। শরীর এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেকিং সোডা খুবই উপকারী। এটি একদিকে যেমন এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে অন্যদিকে এন্টিসেপটিক হিসেবে আমাদের অনেক বেশি উপকার করে থাকে। 

১। এন্টিসেপটিক হিসেবে বেকিং সোডার উপকারিতাঃ 

বেকিং সোডাতে রয়েছে সোডিয়াম বাইকার্বনেট।

যেটা আমাদের যেকোন জিনিস বা ব্যাথা নাশক জিনিস পরিস্কারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে যে কোন জিনিস পরিস্কারের ক্ষেত্রে পরিষ্কারক হিসেবে বেকিং সোডা বিভিন্ন ধরনের পরিষ্কারকের উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই হাতের কাছে কোন ধরনের সাবান বা পাউডার না থাকলে আপনি বেকিং সোডা পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

২। এন্টাসিড হিসেবে বেকিং সোডার উপকারিতাঃ 

আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজন আছে, যাদের গ্যাসের সমস্যা বা অম্বলের সমস্যা দেখা যায়। যার কারণে ভালো কোন পরিবেশে গেলে তারা খুবই অস্বস্তি বোধ করে।

আপনারা শুনলে অবাক হবেন বেকিং সোডা এন্টাসিড হিসেবে অম্বল এবং গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

৩। মূত্রনালী সমস্যা সমাধানে বেকিং সোডার ভূমিকাঃ

যাদের মূত্রনালীতে সমস্যা হয় বা প্রস্রাব করতে যাদের জ্বালাপোড়া করে, আপনারা যদি বেকিং সোডার সাথে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে ২ টেবিল-চামচ সেবন করেন, তাহলে আপনাদের মুত্র নালীর সমস্যা তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে। 

৪। পেশিগত কাঠিন্যতা দূর করতে বেকিং সোডার উপকারিতাঃ

অনেক সময় শরীর ফিট রাখতে আমরা অনেক ব্যায়াম করে থাকি। মাঝেমধ্যে ব্যায়াম করার পর আমাদের শরীরের পেশিতে টান টান একটা ব্যাথা অনুভূত হয়। এই ব্যাথা সাথে সাথে কমিয়ে ফেলতে আমরা প্রতিষেধক হিসাবে বেকিং সোডা খেতে পারি। 

৫। ত্বকের যত্নে বেকিং সোডার উপকারিতাঃ

মুখে ব্রনের সমস্যা যাদের লেগেই থাকে বা যাদের স্কিন দিন দিন  ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে আপনারা খুব সহজেই বেকিং সোডা ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন।

এজন্য আপনাদের ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে ২ চা চামচ পানি মিশিয়ে একটি ফেইস প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এবং তা মুখে হালকা করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবারের বেশি করা যাবে না। এটি ব্যবহারে আপনারা আপনাদের ত্বকের উজ্জলতা সাথে সাথে বুঝতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা উপরের আলোচনা থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে বেকিং সোডা শুধু খাবারের মান বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয় না বরং এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ও কাজ করে থাকে। 

বেকিং সোডা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

বেকিং সোডা খাওয়ার পরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, অতিরিক্ত বেকিং সোডা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে  মাথা ব্যাথা, পেট ফাঁপা হওয়া, পানির পিপাসা লাগা, এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখা যায়। 

তাহলে বন্ধুরা আমরা বলতে পারি বেকিং সোডা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান। আমরা এর উপকারী দিক গুলো ভালোভাবে নেওয়ার চেষ্টা করব।