ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক ফর্সা করার মাস্ক

ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক ফর্সা করার মাস্ক

বন্ধুরা ,আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ত্বককে সবচেয়ে দ্রুত উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং বানানোর জন্য স্কিন ফেয়ারনেস পিলঅফ মাস্ক যেটি ব্যবহার করলে আপনারা একই সাথে দু’রকম বেনিফিট পাবেন। প্রথমত এই মাস্কটি আপনার স্কিনের সকল দাগকে দূর করে দিবে। দ্বিতীয়টি হল এটি আপনার ত্বককে দুর্দান্তভাবে ফর্সা করবে এবং তার সাথে সাথে এই পিলঅফ মাস্কটি আপনার ত্বককে করে দিবে ধবধবে কাঁচের মতো ফর্সা ।

ত্বক ফর্সা করার উপায়

চলুন বন্ধুরা ,ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক ফর্সা করার মাস্কটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা দেখে নিই।

মাস্ক তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

১ টি – আলু

  • ৩০ গ্রাম – পাকা মিষ্টি কুমড়া
  • ১ চামচ – কাঁচা তরল দুধ ও
ফর্সা ত্বক পাওয়ার উপায়
  • ১ চামচ – মধু

তৈরির ধাপঃ

এই মাস্কটি বানানোর জন্য আলু ও পাকা মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ করে নিতে হবে ।

আলু ও মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ করে এটাকে ঠান্ডা করে নিতে হবে।

আলু ও মিষ্টি কুমড়া ঠান্ডা হবার পর এদেরকে ব্লেন্ড করে এটিকে একটি কাঁচের কৌটায় নিয়ে স্টোর করে রাখুন।

এবার একটি পরিস্কার বাটিতে ৩-৪ চামচ এই মিশ্রণ নিন।

এরপর এরসাথে এড করুণ

  • ১ চামচ কাঁচা তরল দুধ ও
  • ১ চামচ মধু

এরপর এদেরকে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

মাস্কটি তৈরি হয়ে গেলে একটি ব্রাশের সাহায্যে চেহারায় এইভাবে  apply করে নিন । আর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন ।

মাস্কটি শুকিয়ে গেলে ত্বক পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন।  


ব্যবহৃত উপাদানের কাজঃ

আলুঃ

আলুর মধ্যে ত্বকের দাগ ছোপ দূর করার গুণাগুণ পাওয়া যায়। তাছাড়া আলু আমাদের ত্বকের রংকেও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে ।

এছাড়াও আলুর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও জিংক পাওয়া যায় যা ত্বক হতে ডেড স্কিন সেল, ডার্ক সার্কেল ও রিংকেলস্‌কে দূর করে দিয়ে ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে ফেয়ারনেস ও গ্লো নিয়ে আসবে।

মিষ্টি কুমড়াঃ

মিষ্টিকুমড়ার-অত্যন্ত-কার্যকরী-কিছু-ফেইসপ্যাক

মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে এ্যানজাইম এবং আলফা হাইড্রোক্সি এসিড রয়েছে যা স্কিন সেল প্রোডাকসনকে বোষ্ট করে ত্বককে ব্রাইট এবং স্মোথ করে তুলে ।

কাঁচা তরল দুধঃ

কাঁচা তরল দুধ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।

কাঁচা দুধের মধ্যে ল্যাকটিক এসিড থাকায় দুধ আমাদের ত্বক থেকে ভিবিন্ন ধরণের ডার্ক স্পট,ব্রণের দাগ,রোদে পুড়াদাগকে দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে।

মধুঃ

মধুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও অন্যান্য জীবাণুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

খাঁটি মধু চেনার উপায়

আর মধুর প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং প্রোপার্টি ত্বককে ভিতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে ত্বককে তুলতুলে নরম ও মুলায়েম রাখে।
নোটঃ

১। এই মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রেখে ৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন ।

২। ভাল ফলাফল পাবার জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুণ।

 আপনারা এই মাস্কটি ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বকের সকল দাগ দূর হয়ে ত্বকে ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে।