জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ,কিভাবে আপনি জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারেন???

জরায়ুর ক্যান্সার এর তিনটি ধাপ রয়েছে………

প্রাথমিক পর্যায়  

মাধ্যমিক পর্যায়

ফাইনাল পর্যায়

 প্রাথমিক পর্যায়

বন্ধুরা অনেকেরই একটি ভুল ধারনা থাকে, প্রাথমিক ধাপ মানে অনেকে মনে করে থাকে ক্যান্সারের খুব কম সংক্রমন।জরায়ুর ক্যান্সারে প্রাথমিকভাবে ক্যান্সারের সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়। ক্যান্সার সংক্রমন এর প্রাথমিক ধাপ বলতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কে বোঝায়। এই ধাপে ক্যান্সার সংক্রান্ত ঝুঁকিটা অনেক বেশি বেড়ে যায় তাই এই প্রাথমিক পর্যায়ে  সকলের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।  ক্যান্সার থেকে সকলকে প্রতিরোধ করা।

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

প্রাথমিকভাবে কিভাবে আমরা জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারিঃ

প্রথমে আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হল কি কি কারণে ক্যান্সার হয় সেই কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চলা। এখন আমরা জরায়ুর ক্যান্সার এর প্রাথমিক পর্যায়ে  ঐসকল কারণগুলোকে এড়িয়ে চলব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য।

এখন আসা যাক কোন কোন কারন গুলো এড়িয়ে চললে আমরা ক্যান্সারকে প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারব

প্রথমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। অর্থাৎ বাল্যবিবাহের সংখ্যা থেকে কম বয়সে সহবাসের অভ্যাস গড়ে ওঠে অর্থাৎ সমাজে যদি বাল্য বিবাহ প্রচলিত থাকে ১৭ বছরের আগেই যে কোন মেয়ে সহবাস অর্থাৎ নিয়মিত সহবাস করে। যা জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কে অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।

জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ

যে বিষয়টির প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো সচেতনতা। অর্থাৎ আমাদের যখন পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হয় তখন আমাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ ময়লা কাপড় তখন ব্যবহার করা যাবে না। এর পাশাপাশি আমাদেরকে খাবার-দাবারে অধিক সচেতন করতে হবে। এ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণ করতে হবে এর সাথে সাথে আরও কাজগুলো আমাদের করতে হবে সচেতন ভাবে।

সব সময় পেন্টি পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। যখন আমাদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় যায় তখন আমরা বাধ্য হই প্যান্টি পরতে। তাছাড়া কোনো ফাংশনে গেলে শরীরের সেফ ঠিক রাখার জন্য আমরা পেন্টি পড়ি। বিশেষ কারণ ছাড়া আমাদের উচিত পেন্টি পরিহার করা। কারণ সব সময় যদি আমরা পেন্টি পড়ে থাকি তাহলে আমাদের জরায়ুর মুখে কোন ধরনের বাতাস ঢুকতে পারে না। যার কারণে জায়গাটি ভেজা ও স্যাতস্যাতে থাকে। ফলে আরও বেশি সেখানে ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের সুযোগ হাজার গুণ বেড়ে যায়। তাই যা পড়ে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, জরায়ু ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে আমাদের সবসময় পেন্টি পরা পরিহার করতে হবে।

এরপরে আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেগুলো হলো অনেকগুলা সঙ্গীর সাথে সহবাস না করা অর্থাৎ সমাজে এমন অনেক লোক আছে যারা একাধিক লোকের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়ে যায়। তাদের ক্ষেত্রে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকির পরিমাণ টা অনেক বেড়ে যায়।

জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল জরায়ুতে কোন ধরনের সংক্রমণ কে হালকা ভাবে না নেওয়া। যেমন ধরুন আপনার যদি কোন কারণে জরায়ু বের হয়ে যায় বা পজিশন থেকে সরে যায় অথবা জরায়ুতে টিউমার হয়। পরবর্তীতে এই জরায়ু প্রতিস্থাপনের জন্য কোন কাজ করতে হয় অথবা টিউমার বিনাশ  করার জন্য যদি আপনার অপারেশন করতে হয় অর্থাৎ যেকোন ধরনের জরায়ুতে অস্ত্রোপাচার জরায়ুর ক্যান্সার এর ঝুঁকি অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়।

তাই জরায়ুতে যেকোনো ধরনের সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি তার সঠিক চিকিৎসা আমাদের করে নেওয়া উচিত।  কারণ প্রাথমিক পর্যায়ের জরায়ুর সমস্যা জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়াও ক্যান্সারের বাকি যে দুইটা ধাপ…… দ্বিতীয় ধাপ এবং তৃতীয় ধাপ। এগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে।

জরায়ু ক্যান্সারের টিকা

যেমন দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা । সরকার এজন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার অতি স্বল্প মূল্যে নারীদের জন্য জরায়ু টিকার ব্যবস্থা করেছে।

তাই প্রতিটা নারীর উচিত জরায়ু ক্যান্সারের টিকা গুলো  নিয়ে নেওয়া।  যাতে করে ভবিষ্যতের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। তাহলে বন্ধুরা উপরে যতসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার  কথা আমরা বললাম এই সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আপনারা যদি গ্রহণ করেন, তাহলে জরায়ু ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।