কোরাল মাছের উপকারিতা

‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ নামে যেহেতু আমাদের পরিচয়, তাই আমাদের খাবারের তালিকায় মাছের চাহিদা সব সময় প্রায়োরিটি লিস্টে থাকে। বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী এবং মজার মাছ সামুদ্রিক মাছ। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তির অবদানে সামুদ্রিক মাছ আমরা পুকুরের মধ্যেও লালন করতে পারি। 

আজকে আপনাদের সামনে যে আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে কোরাল মাছের উপকারিতা নিয়ে। আমরা জানি কোরাল মাছ সমুদ্রে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, কিন্তু এখন সমুদ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির মাধ্যমে এ কোরাল মাছ চাষ করা হয়ে থাকে।

কোরাল মাছের উপকারিতার যে গুনাগুনঃ

অন্যান্য উৎস থেকে যে কোরাল মাছ পাওয়া যায় তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন রয়েছে সামুদ্রিক কোরাল মাছের মধ্যে।তাই আজকে আমরা আলোচনা করতে যা সামুদ্রিক কোরাল মাছের উপকারিতা আমাদের শরীরে কতটা গুরুত্ব পূর্ণভাবে কাজ করে থাকে। 

যেসকল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোরাল মাছের মধ্যে রয়েছেঃ

সামুদ্রিক কোরাল মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন, মিনারেল,  ও অ্যান্টিব্যাক টেরিয়াল উপাদান।যা আমাদের শরীরে গুরূত্বপূর্ণ জটিল অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে।

এছাড়াও সামুদ্রিক কোরাল মাছের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, মানসিক বিকাশে সহযোগিতা করে, পাশাপাশি শিশুদের গ্রোথ বাড়াতে সামুদ্রিক মাছের তুলনা করা যায় এমন মাছের সংখ্যা খুবই কম। 

শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোরাল মাছের উপকারিতাঃ

শরীরের কোলেস্ট্রল বা অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা অনেক বেশি। সামুদ্রিক কোরাল মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার পরেও এটি আমাদের শরীরে ফ্যাট বাড়াতে দেয় না। কারণ এটার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন এবং খনিজের উপস্থিতি। যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক পরিমাণে কাজ করে থাকে।

মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটাতে কোরাল মাছের উপকারিতাঃ

মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটাতে সামুদ্রিক কোরাল মাছের গুরুত্ব অনেক বেশি। সামুদ্রিক কোরাল মাছের মধ্যে যে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড রয়েছে, সেটি আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে সঠিকভাবে উজ্জীবিত করতে কাজ করে থাকে।

নিউরোলজিস্ট ধারণা,

যদি ছোট বেলা থেকে আমরা সামুদ্রিক কোরাল মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা রাখে।

চোখের দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখতে সামুদ্রিক কোরাল মাছের উপকারিতাঃ

অন্যান্য মাছের তুলনায় সামুদ্রিক কোরাল মাছের মধ্যে ওমেগাথ্রিফ্যাটি এসিড, আয়োডিন ও আমিষের চাহিদাপূরণ করা যায় বলে এটি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরীভাবে ভূমিকা রাখে। কোরাল মাছের মধ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড আমাদের চোখের রেটিনাকে সুষ্ঠুভাবে রাখতে কাজ করে।

হজমের সমস্যা সমাধানে সামুদ্রিক কোরাল মাছের উপকারিতাঃ

সামুদ্রিক কোরাল মাছের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকায়  এটি আমাদের হজমে কার্যকরী ভাবেকাজ করে থাকে। কোরাল মাছ আঁশযুক্ত খাবার হওয়ার কারণে আমাদের হজম পরিপাকে এটির কার্যকারিতা অনেক।

তাই আমরা যদি আমাদের খাবারের তালিকায় সামুদ্রিক মাছ হিসাবে কোরাল মাছকে রাখতে পারি, তাহলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো। 

সতর্কতাঃ

পাশাপাশি আরেকটা বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সেটা হচ্ছে এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুকুরেও কিন্তু কোরাল মাছ উৎপাদন করা হচ্ছে। তাই কোরাল মাছ কেনার সময় একটু দেখে শুনে ক্রয় করাটা আমাদের জন্য উপকারী।