প্রতিদিন ১টি কলা খেলে পাবেন এই ৬ উপকারিতা

কলার উপকারিতা

স্বল্প দামে পাওয়া ফলের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল হচ্ছে কলা। কলা কাঁচা বা পাকা উভয় ভাবেই খাওয়া যায়। কিন্তু আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে। 

আমাদের দেশে যে সকল ফল খুব বেশি পরিমাণে উৎপাদন হয় তার মধ্যে কলার উৎপাদন অনেক বেশি। এবং এটি সারা বছর পাওয়া যায়। বিশেষ করে পাহাড়িয়া অঞ্চলে কলার উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি।

পাকা কলার উপকারিতাঃ 

কলার উপকারিতা

কলার মধ্যে ন্যাচারাল চিনির পরিমাণ থাকে। যেমন সুগার-সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ আর গ্লুকোজ। তাই পাকা কলা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

এছাড়াও কলার মধ্যে পাওয়া যায় এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন জাতীয় উপাদান। যা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে অনেক বেশি উপকার হয়ে থাকে।

ব্লাড প্রেসার কমাতে পাকা কলার উপকারিতাঃ

যাদের ব্লাড প্রেসার থাকে বা প্রেসার বারবার উঠানামা করে। কোনভাবেই কন্ট্রোলে রাখা যায়না। তারা পাকা কলাকে নিয়মিত সঙ্গি করে রাখতে পারেন। কারণ পাকা কলার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের রক্তের চাপ কে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাকা কলার কার্যকারিতা অনেক বেশি।

গর্ভকালীন সময়ে পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

প্রেগনেন্সির সময় পাকা কলা শরীরের অনেক উপকার সাধন করে।

কলার উপকারিতা

এটি একদিকে যেমন শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে অন্যদিকে দুর্বলতা কাটাতে কাজ করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে মা এবং বাচ্চা দুজনকে সুস্থ রাখার কাজ করে। তাই গর্ভকালীন সময়ে পাকা কলা নির্ভয়ে খেতে পারেন। 

স্মৃতিশক্তি এবং মেধা বিকশিত করতে পাকা কলার উপকারিতাঃ

ছোট বয়স থেকে পাকা কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যদি অল্প বয়সে পাকা কলা খাওয়ার অভ্যাস হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে মেধা এবং স্মৃতিশক্তি বিকশিত করার ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পাকা কলার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের স্নায়ুগুলোকে সব সময় এক্টিভ থাকার কাজ করে থাকে।

ওজন কমাতে বা বাড়াতে পাকা কলার উপকারিতাঃ

পাকা কলা খাওয়ার মাধ্যমে একদিকে ওজন কমানো যায় আবার অন্যদিকে ওজন বাড়ানো যায়। ওজন কমাতে চাইলে বেশি পাকা কলা না খেয়ে অল্প পাকা কলা খাওয়া ভাল। আর অন্যদিকে যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে পাকা কলার সাথে দুধ মিক্স করে খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়।

ত্বকের যত্নে পাকা কলার উপকারিতাঃ

যাদের ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক থাকে শীতকালে বেশি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তারা ত্বকের যত্নে পাকা কলা ব্যবহার করতে পারেন।

কলার উপকারিতা

এক্ষেত্রে পাকা কলার পেস্ট এর সাথে অল্প পরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল দিয়ে মুখে মাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বকের শুষ্ক ভাব চলে যাবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে নমনীয় ও উজ্জ্বল।

ত্বকের বলিরেখা বা রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করতে পাকা কলার উপকারিতাঃ

কলার উপকারিতা

যাদের ত্বকে বলিরেখা দেখা যাচ্ছে বা রোদে পোড়ার কারণে ত্বকের কালচে ভাব চলে আসছে, তারা সপ্তাহে ২-৩ বার পাকা কলার পেস্ট ত্বকের মধ্যে দিয়ে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

এক্ষেত্রে পাকা কলার সাথে সামান্য পরিমাণে এলোভেরা জেল ২-৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করলে ত্বকের বলিরেখার সাথে সাথে ত্বকের রোদে পোড়া কালো দাগ দূর হয়ে যাব্। 

সুতরাং বন্ধুরা, পাকা পেঁপে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে তা নয় এর পাশাপাশি এটি আমাদের ত্বকের যত্নে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।