নিয়মিত করলা খাওয়ার ৫টি অসাধারন উপকারিতা

করলার-উপকারিতা

বন্ধুরা, করলা সম্পর্কে ধারনা নেই বা করলা ছিনেন না এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া খুব একটা যাবেনা। কারণ খুবই পরিচিত একটা সবজির নাম হচ্ছে করলা। 

মৌসুমী এই সবজিটি আমরা সবজি হিসাবেই বেশি খেয়ে থাকি। করলা আপনার শরীরের কি কি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে তা যদি শুনেন, তাহলে নিয়মিত খাবারের তালিকায় আপনি করলা রাখতে বাধ্য হবেন। তাই আজকে আমার আলোচনার বিষয় হচ্ছে করলার উপকারিতা নিয়ে।

করলার উপকারিতাঃ

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় যদি আপনি নিয়মিত ভাবে করলা খেতে পারেন তাহলে ১০০ টি রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া এই তথ্যটি একেবারেই সঠিক। কারণ করলার মধ্যে  এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে যথেষ্ট পরিমাণে ভূমিকা রাখে।

করলাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহঃ

করলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও শরীরে চিনি কমানোর অন্যতম উপাদান। এছাড়াও কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।  সাথেসাথে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং জিংক ও সোডিয়াম ও পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়ে  থাকে। 

করলা শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করেঃ

করলাতে যে রস পাওয়া যায় সে রসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উপাদান থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে,  সাথে সাথে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

অ্যাজমার সমস্যা সমাধানে করলার উপকারিতাঃ

যাদের শরীরে অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে বা ফুসফুসের সমস্যা দেখা যায়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তারা করলার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে যে এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরে তৈরি হবে তা আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবে।

বার্ধক্য থেকে দূরে রাখতে করলার কার্যকারিতাঃ

করলার উপকারিতা

শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে বা বার্ধক্য থেকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত করলার জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। করলার জুস এর মধ্যে যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে তা আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ বাড়াতে বাধা প্রদান করে থাকে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার তারুণ্যতা ধরে রাখতে কাজ করবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার কার্যকারিতাঃ

যাদের শরীরে রক্তের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন, তারা নিয়মিত করার সবজি বা করলার জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর ফলে করলার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখতে কাজ করবে। ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

হজমের সমস্যা সমাধানে করলার উপকারিতাঃ

যাদের খাবার সহজে হজম হয় না বা অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তারা খাবারের তালিকায় নিয়মিত করলার সবজি খেতে পারেন। কারণ কলার মধ্যে থাকা উপাদান আমাদের শরীরের হজন ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

সুতরাং বন্ধুরা আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আশা করি আপনারা করলার উপকারিতা বা কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনেছেন। তাই নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে করলাকে শুধু সবজি হিসেবে না খেয়ে  করলার বিভিন্ন উপকারী দিকগুলো জেনে এর ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং সুস্থ থাকুন।