তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার এই ফেসপ্যাকগুলো ব্যবহার করুন

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক

আমাদের একেক জনের ত্বকের ধরণ একেক রকম । তাই  ত্বকের যত্নও একেক রকম হওয়া প্রয়োজন । আর ত্বকের যত্ন নেবার জন্য প্রকৃতির মধ্যে যে সকল উপাদান রয়েছে তার মধ্যে অসাধারণ এক উপাদান হলো অ্যালোভেরা। আজকে আমি তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার কিছু ফেসপ্যাক শেয়ার করব ।

অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক

এই ফেসপ্যাকগুলো ব্যবহার করলে ত্বক হতে অতিরিক্ত তেল চিটচিটে ভাব, ত্বকের ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করবে। এছাড়াও এই ফেসপ্যাকগুলো ধীরে ধীরে ত্বকের সমস্যা দূর করে ত্বককে ক্ল;ইন ও ফ্রেশ রাখবে।

১। মসুর ডাল, টমেটো ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাকঃ

ফেসপ্যাক তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

  • অ্যালোভেরা জেল –  ২ চামচ
  • ভেজানো মসুর ডাল – ২ চামচ
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
  • পাকা টমেটো  – অর্ধেক
  • লেবুর রস – ২ চামচ
  • গোলাপজল – পরিমাণত

ফেসপ্যাক তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতিঃ

  • শুকনো মসুর ডাল পানির মধ্যে দুই ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন ।
  • এরপর একটি পরিষ্কার বাটিতে ভেজানো মসুর ডাল নিতে হবে। এরপর বাটিতে অ্যালোভেরা জেল , পাকা টমেটো, লেবুর রস ও গোলাপজল নিন ।
মিশ্র ত্বকের যত্নে
  • এরপর সবগুলো উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করে স্মোথ পেষ্ট বানিয়ে নিতে হবে ।
  • ব্লেন্ড করার পর স্মোথ পেষ্ট একটি বাটিতে ঢেলে নিন।
  • এবার পেষ্ট ব্রাশের সাহায্যে মুখে লাগান ।
  • মুখে লাগানোর পর ২০মিনিট অপেক্ষা করে মুখের মধ্যে পুরোপুরি শুকিয়ে নিন।
ত্বকের দাগ দূর করার ফেসপ্যাক
  • এটি পুরুপুরি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

কিভাবে কাজ করবেঃ

মসুর ডালঃ

মসুর ডালে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যা ত্বকে শক্তি যোগায় । এছাড়াও এটি ত্বককে উজ্জীবিত করার সাথে সাথে ত্বককে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে।

ব্রণ দূর করার উপায়

লেবুঃ

লেবুর মধ্যে প্রাকৃতিক ব্লিচ রয়েছে যা ত্বককে অতিমাত্রাই ফর্সা করে তুলার জন্য পারদর্শী । এছাড়াও লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায় যা ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে ব্রাইট ও লাইটেন করে তুলে ।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কলার ফেসপ্যাক

টমেটোঃ

টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোফিন স্কিনকে UV রে হতে Protect করে ।ভিটামিন ই স্কিনে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে স্কিন অয়েল control করে স্কিনকে টানটান করে তুলে।

অ্যালোভেরার উপকারিতা

টমেটোর মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা ফ্রি রেডিকেলসের বিরোদ্ধে ফাইট করে স্কিনে বয়সের ছাপ আসতে দেয় না, যার কারণে স্কিন সবসময় তরুণ থাকে।

গোলাপজলঃ

গোলাপজল ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে টোনার হিসেবে কাজ করবে।

নোটঃ

সেনসিটিভ ত্বকের বন্ধুরা ব্যবহার করতে চাইলে এই প্যাকটিতে লেবুর রস ব্যবহার করার পরিবর্তে মধু এড করবেন।

২। টকদই ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাকঃ

ফেসপ্যাক তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

  • টকদই – এক চামচ
  • অ্যালোভেরা জেল – এক চামচ
ত্বক ফর্সা করা উপায়
  • মধু  – এক চামচ
  • লেবুর রস  – এক চামচ ও
  • ভিটামিন ই  – একটি

ফেসপ্যাক তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতিঃ

  • একটি পরিষ্কার পার্টিতে সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
  • স্মোথ পেষ্ট তৈরি হয়ে যাবার পর মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিবেন । 
উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বকের জন্য হলুদের ফেসমাস্ক
  • মুখ পরিষ্কার করার পর একটি ব্রাশ অথবা তুলার প্যাড এর সাহায্যে এই প্যাকটি মুখের মধ্যে এপ্লাই করুন।
  • প্যাকটি মুখে এপ্লাই করার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে প্যাকটি ত্বকের মধ্যে পুরোপুরি শুকিয়ে নিন ।
  • ফেসপ্যাকটি ত্বকের মধ্যে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ত্বক পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।

কিভাবে কাজ করবেঃ

টকদইঃ

দইয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ৫ ত্বক হতে কালো দাগ,বয়সের ছাপ ও ব্রণের দাগকে দূর করে দিয়ে ত্বককে দাগহীন করে তুলবে।

ত্বক ফর্সা করার উপায়

মধুঃ

এই রেমেড়িতে মধু থাকায় মধুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও অন্যান্য জীবাণুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

ব্রণ দূর করার উপায়

আর মধুর প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টি যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে ত্বককে তুলতুলে নরম ও মুলায়েম রাখে।

লেবুঃ

লেবুর মধ্যে প্রাকৃতিক ব্লিচ রয়েছে যা ভিবিন্ন ধরণের ডার্ক স্পট,ব্রণের দাগ , রোদেপুড়া ও পিগমেন্টেশকে অনায়াসে দূর করে ত্বককে অতি মাত্রাই উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলার জন্য পারদর্শী।

ভিটামিন ইঃ

ফ্রিরেডিকেল এর কারণে ত্বকে বয়সের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়। আর ভিটামিন-ই ফ্রিরেডিকেল এর জন্য ত্বকে ব্লক তৈরিতে কাজ করে , যে কারণে ত্বক ফ্রিরেডিকেল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে যার ফলে ত্বক আরও বেশি আকর্ষণীয় ও ইয়ং হয়ে ওঠে ।

ত্বক ফর্সা করার ফেসপ্যাক

নোটঃ

১। ত্বকের যত্ন নেবার জন্য এবং ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা রাখার জন্য এই প্যাক সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারবেন।

২। আপনারা যদি টকদই বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে এটি আপনাদের ত্বকের জন্য খুব ভাল হবে।