প্রাচীন সভ্যতা থেকে নিজের রূপমাধুর্যের খ্যাতির জন্য অনেকে অনেক কিছু করেছেন । কেউ কেউ আবার নিজের রূপের অহংকারে এমন দিশেহারা ছিলেন তারা মানুষ মারার পরিকল্পনা করত নিজের রূপের ফাঁদে ফেলে। এমন সুন্দরীদের রূপের কথা, এমন জঘন্য ইতিহাসের কথা আশা করি সবারই জানা আছে।অনেকে আবার নিজের সৌন্দর্য্যের জন্য ইতিহাসের ভয়ংকর সুন্দরী নারী রূপেও খ্যাতি পেয়েছেন।আবার কেউ কেউ বিশ্বের সুন্দরী নারী হওয়ার মুকুট জয় করেছেন।
এ সকল খ্যাতি অর্জন করার পরও নারীরা থামিয়ে রাখেনি নিজেদের রূপচর্চা। ইতিহাসের ভাল বা খারাপ যেদিকেই তাকান না কেন খ্যাতি অর্জন হোক বা না হোক নিজেকে আরেকটু সুন্দর করে তুলার প্রচেষ্টা সকলের মধ্যে রয়েছে এবং আপনার, আমার ও সকলের মাঝে এ প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে । সকলের নিজেকে আরেকটু সুন্দর হওয়ার প্রচেষ্টাকে সফল করতে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হলুদের কার্যকর ব্যবহার ও উপকারিতা গুলো ।হলুদের ব্যবহার আমাদের ত্বককে সুন্দর করে আমাদের সুন্দর হওয়ার প্রচেষ্টাকে সফল করবে।
ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে হলুদের ফেসপ্যাক ও উপকারিতাঃ
১.ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করেঃ
হলুদের মধ্যে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করার অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের নাম হল অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট।
আমাদের ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলে ত্বকের রং কালো ও তামাটে হয়ে বিবর্ণ হয়ে ওঠে,যার ফলে ত্বক নিজের সৌন্দর্য হারিয়ে মলিন হয়ে পড়ে ও ত্বকের অর্থাৎ চেহারার আসল সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় । আর হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি- অক্সিডেন্টের কাজ হল ত্বক হতে রোদে পুড়া কালো দাগ ,তামাটে ভাব ও ত্বকের কালচে রং দূর করে দিয়ে ত্বকের ভিতর থেকে ফর্সা করে তুলা।
২. ব্রণের চিকিৎসা করেঃ
তৈলাক্ত ত্বক সহ প্রায় সব ধরণের চেহারার সাধারণ সমস্যা হল ব্রণ। চেহারার সৌন্দর্য্যকে যেন এক নিমিশেই হারিয়ে দেয় ব্রণ। ব্রণ হতে সৃষ্ট দাগ দীর্ঘস্থায়ীভাবে চেহারায় রয়ে যায় বিধায় ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে অনেকে। তাদের সুবিধার জন্য সুখবর হল হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল প্রোপারটি ।
অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল প্রোপারটি যা ত্বকে ব্রণসৃষ্টকারী জীবাণু ও অন্যান্য জীবাণুকে ধ্বংস করে ত্বককে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করে ত্বকে ব্রণের চিকিৎসা করে থাকে।এছাড়াও হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি –ইনপ্লেমেটরি প্রোপারটি ত্বকে ব্রণের ফলে সৃষ্ট হওয়া জ্বালা কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
ত্বককে ব্রণের আক্রমণের হাত থকে রক্ষা করার জন্য আপনি হলুদের ফেইসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চেহারা হতে ব্রণ তাড়াতে খুব কার্যকরী প্রভাব বিস্তার করবে।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- হলুদ গুড়া – ১ চা-চামচ
- মধু – ১ চা-চামচ
- মিল্ক ক্রীম – ১ চা-চামচ
তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- প্রথমে একটি পরিস্কার বাটিতে সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে নরম পেষ্ট বানিয়ে নিন।
- মুখ পরিস্কার করে মুখে লাগান ।তবে চেহারার যে জায়গায় ব্রণ আছে সেখানে প্যাকটির প্রলেপ বেশী করে লাগাবেন।
- প্যাকটি লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
নোটঃ
ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
৩. সোরিয়াসিসের (Psoriasis) চিকিৎসা করেঃ
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি–ইনপ্লমেটরি প্রোপারটি যা ত্বকের সোরিয়াসিসের (Psoriasis) চিকিৎসা করে থাকে । তাই হলুদের যথার্থ ব্যবহার আপনার সোরিয়াসিসকে দূর করে দিয়ে ত্বককে প্রশান্ত করে তুলবে।
১ টেবিল চামচ হলুদ গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশয়ে পেষ্ট তৈরী করে ( পেষ্ট তৈরী করার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু গোলাপজল ব্যবহার করুন।)মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। সকাল বেলা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪. বলিরেখা দূর করেঃ
আমাদের ত্বকে নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে বলিরেখার সৃষ্টি হয় ।আর চেহারায় বলিরেখার সৃষ্টি হলে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে চেহারাকে অনেক বেশি বয়সী করে তুলে । হলুদের ব্যবহার ত্বক হতে বলিরেখাকে দূও করে দিয়ে ত্বককে তরুণ করে তুলার পাশাপাশি নমনীয়তা প্রদান করে।
৫. ত্বককে আল্ট্রা- ভায়োলেট রশ্মি হতে রক্ষা করেঃ
আমরা যখন রোদের সংস্পর্শে আসি তখন সূর্যের আলোতে থাকা অতি ক্ষতিকারক রশ্মি আল্ট্রা- ভায়োলেট রশ্মি (uv ray) ত্ত্বকের প্রচুর ক্ষতি করে। এই রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাবে ত্বক নিজের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। হলুদের মধ্যে থাকা ত্বক ফর্সাকারী ও পক্কতা বিরোধী উপাদান গুলো ত্বককে সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা করে।
ত্বককে আল্ট্রা- ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিচের হলুদের ফেইসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ চা চামচ – হলুদ গুড়া
- ১ চা চামচ – কমলার রস
- ১ চা চামচ – কাঁচা তরল দুধ
তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- প্রথমে একটি পরিস্কার বাটিতে সবগুলো উপাদান সমানভাবে নিয়ে খুবভাল করে নরম পেষ্ট তৈরী করে নিন।
- পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ে মুছে নিন। এরপর হলুদের প্যাকটি মুখে লাগান এবং প্যাকটি ত্বকে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫-২০ মিনিট মত অপেক্ষা করুন।
- প্যাক শুকিয়ে এলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
নোটঃ
১) ভাল ফলাফলের জন্য প্যাকটি সপ্তাহে ৪ বার ব্যবহার করুন।
বিকল্প প্যাকঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ চা চামচ – হলুদ গুড়া
- ১ চা চামচ – মুলতানি মাটি
- ১ চা চামচ – গোলাপজল
তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- সবগুলো উপাদান সমানভাবে নিয়ে একটি নরম পেষ্ট তৈরী করুন ।
- মুখ পরিস্কার করে প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন।তবে মুখের যে জায়গায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সে স্থানে বেশী পুরু করে লাগাবেন ।
- প্যাক শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
৬. ত্বকের অতিরিক্ত তৈল নিয়ন্ত্রণ করঃ
আমাদার ত্বকের জন্য এক পীড়াদায়ক যন্ত্রণা হল ত্বকের তৈলতেলে ভাব । ত্বকে অতিরিক্ত তৈলের প্রভাবে ত্বকে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয় । যেমনঃ ব্লাকহেডস, হোয়াইট হেডস, ব্রণ ইত্যাদি। আর এ সমস্ত সমস্যার সম্মোখিন তারাই বেশী হয় যারা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী।
তৈলাক্ত ত্বকের এই সমস্যা দূর করার জন্য হলুদ অত্যান্ত কার্যকরী ও উপকারী। হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক তৈল-নিয়ন্ত্রণ প্রোপারটি ,ফ্যাটিএসিড ও ফাইটোস্টেরল যা ত্বকের গ্রন্থি হতে রসক্ষরণ ঘটানোর প্রক্রিয়া যার নাম হল সিকরেশন (secretion) এর প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকে তৈল নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং হলুদ ত্বক হতে উৎপন্ন তৈল ও তৈলতেলেভাবকে মুছে দিতে সহায়তা করে ।
তাই সঠিক পদ্ধতিতে যদি হলুদের ব্যবহার ত্বকে করা যায় তাহলে হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা থেকে মুক্তি দেওয়ার সাথে সাথে তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান দিয়ে থাকে।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিচের হলুদের প্যাকগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
প্যাক-১
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ চা চামচ – হলুদ গুড়া
- ২ চা চামচ – টকদই
- ১ চা চামচ – চ্যান্ডাল ওড পাউডার
- ১ চা চামচ –লেবুর রস
তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতিঃ
একটি পরিস্কার বাটি নিয়ে এতে সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। প্যাক তৈরীতে প্রয়োজনে মিনারেল পানি ব্যবহার করতে পারবেন।
মুখ পরিস্কার পানিতে ধুয়ে প্যাকটি মুখে লাগান । প্যাকটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
নোটঃ
ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন ।
প্যাকঃ ২
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ চা চামচ – হলুদ গুড়া
- ১ চা চামচ – বেসন
- ১ চা চামচ – গোলাপ জল
তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- একটি পরিস্কার বাটিতে সবগুলো উপাদান নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নরম পেষ্ট তৈরী করুন।
- মুখ পানি দিয়ে পরিস্কার করে প্যাকটি মুখে লাগান ও এটি ত্বকে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ মিনিট মত অপেক্ষা করুন।
- ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
নোটঃ
ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন।
৭. অ্যান্টি-এইজিং মাক্স হিসেবে কাজ করেঃ
আমরা সকলে একসময় বয়সী হয়ে যাব এবং সময়ের সাথে সাথে এটা প্রতিরোধ করা কখনো সম্ভব নয় । তবে আমরা যদি একটু সচেতন হই এবং সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারি তাহলে বয়স বাড়লেও আমাদের ত্বকে ও চেহারায় এর চিহ্ন পড়বেনা ।
ত্বক থাকবে চির সবুজ ( evergreen) হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডন্ট যা অ্যান্টি – এইজিং মাক্স তৈরী করে । হলুদ ব্যবহারে এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকে বয়সের চাপ সৃষ্টির জন্য দায়ী ফ্রি-রেডিকেলসের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করে আর ত্বক হতে ডার্ক স্পট,
ফাইনলাইনস ও বলিরেখার মত বয়সের বিভিন্ন চিহ্নকে দূর করে দেয় ।এছাড়াও হলুদের মধ্যে আছে অ্যান্টি-ইনপ্লেমেটরি প্রোপারটি ত্বকের অবস্থাকে উন্নত করে ত্বককে সুস্থ্য করে তুলে।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ চা চামচ – হলুদ গুড়া
- ১ চা চামচ – টক দই
- ১ চা চামচ – লেবুর রস
তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- একটি পরিস্কার কাঁচের বাটিতে সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নরম পেষ্ট তৈরী করে প্যাক বানিয়ে নিন।
- যে জায়গায় সান ডেমেজ ( রোদে কালো বা পুড়ে যাওয়া জায়গা ) হয়েছে সে জায়গায় প্যাকটি লাগান ।
- প্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
নোটঃ
১) সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
২) প্যাক ব্যবহারের পর চেহারার অতিরিক্ত হলদেভাব দূর করার জন্য ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ক্ষত ও ঘা সারাতে সাহায্য করেঃ
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি – ইনপ্লেমেটরি প্রোপারটি যা শরীরের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।
ক্ষত জায়গায় সরাসরি হলুদের ব্যবহার ক্ষতকে খুব দ্রুত সারিয়ে তুলে। এছাড়াও হলুদ অ্যান্টি – সেফটিভ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় এটি ত্বককে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই ক্ষত সারাতে আপনি ক্ষত স্থানে হলুদের ব্যবহার করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ টেবিল চামচ – হলুদ গুড়া ও
- নারিকেল তৈল ( পেষ্ট তৈরী করের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করুন)
ব্যবহারঃ
- উপাদান দুইটি দিয়ে নরম পেষ্ট তৈরী করে এটি ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন ।
- ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ক্ষত স্থান ধুয়ে ভাল করে মুছে নিন যেন ক্ষত স্থানে পানি না থাকে ।
নোটঃ
দ্রুত ক্ষত সারাতে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।
৯. একজিমার চিকিৎসা করেঃ
আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলে একজিমার মত রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে ত্বকে । এ সকল রোগ ত্বককে বিশ্রী করে তুলে ও ত্বকে জ্বালা-যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। আমার এই পোষ্টে অনেক আগেই জানিয়েছি হলুদের মধ্যে আছে অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি – ইনপ্লেমেটরি প্রোপারটি ।
হলুদের মধ্যে থাকা এ সকল উপাদান ত্বকে ড্রাই, রিড ও ইচটিস হওয়ার কারণে যে জ্বালা (Inflamation) সৃষ্টি হয় তা কমিয়ে আনতে খুব উপকারী ভূমিকা রাখে। এছাড়া হলুদ ত্বক হতে একজিমার জীবাণু ধ্বংস করে ত্বককে একজিমা রোগমুক্ত করে থাকে।
নিচের প্যাকগুলো ত্বক হতে একজিমা দূর করতে সহায়তা করবে।
প্যাক -১
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ চা চামচ – হলুদ গুড়া
- ২ চা চামচ – তরল দুধ
- ১/২ চা চামচ – মধু
তৈরী ও ব্যবহার বিধিঃ
সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নরম পেষ্ট করে প্যাক তৈরী করে নিন।
একজিমা আক্রান্ত জায়গায় ভাল করে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যেন প্যাক ভালমত শুকিয়ে যায়।
২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন।
নোটঃ
১) শুধু আক্রান্ত জায়গায় লাগাবেন।
২) ভাল ফলাফল পেতে দিনে ২ বার ব্যবহার করুন।
৩) একজিমা আক্রান্ত স্থান সবসময় শুকনো রাখবেন । কারণ ক্ষতস্থান হতে অনেক সময় তরল পদার্থ বের পারে ।এই তরল পদার্থের ফলে এটি শরীরের ভিবিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থকে।
হলুদের এসকল উপকারিতা জানার পর আপনারা আপনাদের সৌন্দর্য্য চর্চায় হলুদকে জায়গা করে দিতে পারবেন নিশ্চয় এবং এটি আপনাদের সৌন্দর্য্যকে বাড়িয়ে আপনাকে আরো বেশী সুন্দর করে তুলে সকলের কাছে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও আকর্ষণীয় করে তুলুক এই সুভকামনা রইল ।