আজকে স্তন ক্যান্সারের যে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব, সেটি হল স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ বা উপসর্গ অর্থাৎ কিভাবে আপনি বুঝবেন আপনার স্তন ক্যান্সার হয়েছে।
স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ বা লক্ষণ
- স্তনের ভিতর পিণ্ড হয়ে যাওয়া।
- স্তনের আকার বা আকৃতি পরিবর্তন হওয়া।
- স্তনের নিপল পরিবর্তন হওয়া।
- স্তনের চামড়া কুঁচকে যাওয়া।
- স্তনের চামড়া উঠে যাওয়া।
- স্তনের চামড়া লাল হয়ে যাওয়া।
উপরোক্ত যেকোনো ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন আপনাকে হতে হবে।
কারণ হলো, ক্যান্সারের লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে কিনা।
এখন আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব সেটা হলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি কিভাবে পরীক্ষা করে দেখবেনঃ
আপনার স্তন ক্যান্সার হয়েছে কিনা এজন্য আমরা ঘরোয়া পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করেছি।
- গোসলের সময় চাকার মত করে ধীরে ধীরে চালনা করতে হবে। বাম দিকের স্তন এর জন্য ডান হাত ও ডান দিকের স্তন এর জন্য বাম হাত ব্যবহার করতে হবে। দেখতে হবে কোনো চাকা বা বলের মত কিছু অনুভূতি হয় কিনা।
- আয়নার সামনে দাডিয়ে প্রথমে দুই হাত দুই পাশে থাকবে। তারপর হাত দুটি সোজা করে মাথার উপরে তুলতে হবে।
এবার সতর্কভাবে লক্ষ্য করে দেখতে হবে যে স্তনবৃন্ত বা অন্য কোন অংশ ফুলে আছে কিনা অথবা কোনো দিকে টোল পড়া অংশ আছে কিনা।
- এবার কোমড়ে হাত দিয়ে কোমড়ে চাপ দিতে হবে এখন ডান স্তন দুটি ভালোভাবে দেখতে হবে কোনো রকম অস্বাভাবিক পরিবর্তন চোখে পড়ছে কিনা।
- তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন খুব কম নারী দুটি স্তন দেখতে একই রকম হয়।
প্রতিনিয়ত এ পরীক্ষা করলে স্তন এর স্বাভাবিক অবস্থা বোঝা যাবে ও অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হলে তাও চোখে পড়বে।
- মাটিতে অথবা বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে এরপর ডান স্তন পরীক্ষার জন্য ডান দিকে ঘাড়ের নিচে একটি বালিশ দিয়ে বা ভাজ করা কাপড় দিতে হবে।
এবং ডান হাত মাথার পেছনে রাখতে হবে এবার বাম হাতের আঙ্গুলগুলো চ্যাপ্টা করে ডান স্তনের উপরে রাখতে হবে চক্রাকারে হাত বুলাতে শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা জরুরি নিচের অংশ কিছুটা শক্ত বলে মনে হতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। এভাবে চক্রাকারে হাত ঘুরে আসার পর স্তনবৃন্তের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অগ্রসর হবার পরে আবার পরীক্ষা করতে হবে।
সবশেষে বৃদ্ধাঙ্গুলি অর্জুন এর মধ্যে ধরে চাপ দিতে হবে। এবং দেখতে হবে কোনো কিছু নিঃসরিত হয় কিনা।
পরীক্ষা গুলো করার সময় যদি কোনো ধরনের শক্ত চাকা অনুভূত হয় অথবা স্তনের বোঁটা হতে কিছু নিঃসরিত হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
এভাবে মাসে অন্তত দুবার নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেক নারীর স্তন পরীক্ষা করা উচিত। নিয়মিত ভাবে নিজের স্তনের যে কোনো অস্বাভাবিক চাকা বা টিউমার শনাক্ত করার জন্য হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখার এ পদ্ধতিকে বলা হয় সেলফ ব্রেস্ট এক্জ্যাম। ব্রেস্ট এক্জ্যাম পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে।
ধন্যবাদ বন্ধুরা