রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার

রূপচর্চায় মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার

পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকেই মানুষ যখনই রূপচর্চার বিষয়ে সচেতন হয়েছে, তখন থেকেই মধুর ব্যবহার কিন্তু প্রচলিত হয়ে আসছে।  রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রসাধনী। ত্বকের যত্নে মধুর কোনো বিকল্পই নেই। 

তাই আজকে আপনাদের সাথে ত্বকের যত্নে মধুর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 

রূপচর্চায় মধুর উপকারিতাঃ

রূপচর্চার প্রসাধনীর ক্ষেত্রে মধু হচ্ছে প্রকৃতি থেকে পাওয়া এমন একটি অনবদ্য উপহার যা একবার সংগ্রহ করে সারা জীবন রেখে দেওয়া যায়। কারণ মধু কখনো নষ্ট হয় না। 

মধু ব্যবহারের নিয়ম

মধু বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে একদল গবেষক বলেন, একটি ফুলের মধুর চেয়ে যদি হরেক রকম ফুলের মধু ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায়, তাহলে তা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়ে থাকে।  কারণ বিভিন্ন ফুল থেকে সংগ্রহ করা মধু ত্বকের যত্নে অনেক বেশি কার্যকরী।

ত্বকের উজ্জলতা ফেরাতে মধু এবং দুধের উপকারিতাঃ

কালো দাগ ছোপ ও মেছতার দাগ দূর ক্রুন (2)

যাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, তারা মধুকে ত্বকের সঙ্গী করে রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে যদি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার  ২ চা চামচ মধুর সাথে ১ গ্লাস দুধ মিশিয়ে তাতে যদি সামান্য পরিমাণ এলোভেরা দিয়ে ত্বকের মধ্যে মাসাজ করতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জলতা পুনরায় ফিরে আসবে।

তৈলাক্ত বা অয়েলি ত্বকের রূপচর্চায় মধুর উপকারিতাঃ

যাদের ত্বক খুব বেশী সেনসিটিভ হয়ে থাকে বা তৈলাক্ত বেশি থাকে, তারা নিয়মিত মধু ব্যবহার করুন। এই ক্ষেত্রে মধুর সাথে সামান্য পরিমাণ এলোভেরা ও কিছু পরিমাণ জাফরান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। 

ব্রণ মুক্ত ত্বক পাবার উপায়

তাহলে আপনার অয়েলি ত্বক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ত্বকে পরিণত হবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মধু কোন কিছুর মিশ্রণ ছাড়া ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে অয়েলি ত্বকের ক্ষেত্রে।

শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধুর উপকারিতাঃ

যাঁদের ত্বক শুষ্ক বা ত্বকে আদ্রতার পরিমাণ কম তারা মধুকে এইভাবে ব্যবহার করুন। এই ক্ষেত্রে মধুর সাথে গরুর দুধ মিশিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো দিয়ে ব্যবহার করলে আপনার শুষ্ক ত্বক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ত্বকে পরিণত হয়ে যাবে।

তখন আপনার ত্বকে যে কোন মেকাপ ভালোভাবে স্যুট করবে। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে যদি আপনি এলোভেরা ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক ফাটা দূর হয়।

স্বাভাবিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মধুর কার্যকারিতাঃ

ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখতে অবশ্যই মধু আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। রূপচর্চায় মধুর বিকল্প কোন কিছু কল্পনা করা যায় না। যে কোন উপাদানের সাথে মধু অন্তরঙ্গভাবে জড়িত।

ত্বক-ফর্সা-করার-উপায়

কেননা মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের কোষগুলোকে সবসময় উজ্জীবিত রাখে। যার ফলে ত্বক সব সময় টান টান থাকে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর হয়ে ত্বক করে তুলে লাবণ্যময়। তাই ত্বকের যত্নে ও রূপচর্চায় মধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সাবধানতাঃ

মধু যেরকম ত্বকের ও রূপ চর্চার ক্ষেত্রে অনেক বড় অবদান রাখে কিন্তু মধুর সঠিক ব্যবহার না জানলে ত্বকের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই শুধু মধু আমরা কখনও মুখে লাগাবো না। মধুর সাথে অন্য কোন  ইনগ্রিডিয়েন্ট  অবশ্যই রাখার চেষ্টা করব। 

সুতরাং বন্ধুরা রূপচর্চায় মধু যে আমাদের কত বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তা আশা করি আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন। নিজের ত্বককে সুন্দর এবং মোলায়েম রাখতে মধুকে প্রতিদিন আপনার ত্বকের সঙ্গী হিসেবে পাশে রাখুন।