মোবাইলের উপকারিতা

আধুনিক জগতের অন্যতম  বিস্ময়কর প্রযুক্তি হিসেবে মোবাইলফোন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । আজকাল মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে মোবাইল ফোন অন্যতম। মোবাইল ফোন ছাড়া যেন চলাফেরা দুঃসাধ্যকর। ছোট বড় ধনী গরিব প্রায় সকলের হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় সকল  প্রযুক্তি মানুষের কাজকে লাঘব করার জন্য বানানো হয়েছে। মোবাইল ফোন ও তার মধ্যে একটি।।

১। যোগাযোগ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা:

 মোবাইল ফোন সারা বিশ্বকে  মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে যোগাযোগ করা সম্ভব মোবাইলের মাধ্যমে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ঘরে বসে আমরা দেশ-বিদেশে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছে  মোবাইল।

২। তথ্য আহরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা:

 মোবাইলের মাধ্যমে আমরা যেকোন তথ্য মুহূর্তে বের করে ফেলতে পারি। কোন অজানা বিষয়ে কোন তথ্য জানার হলে গুগোল ব্রাউজিং এর মাধ্যমে আমরা সার্চ করে যেকোনো তথ্য পেতে পারি

৩। শিক্ষাক্ষেত্রে মোবাইল এর উপকারিতা:

আধুনিক যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখন মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় সকল বিষয়েই তথ্য পাওয়া যায়। এতে করে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই যে কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেটের প্লাটফর্মে বিভিন্ন শিক্ষক তাদের অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস নিয়ে থাকে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোন শিক্ষকের কাছেই অনলাইন ক্লাস করতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেটে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক প্রশ্ন-উত্তর, বিভিন্ন কুইজ অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা আরো পড়ালেখায় পারদর্শী হতে পারে  মোবাইল এর মাধ্যমে।

৪। অনলাইন বিজনেস করার ক্ষেত্রে মোবাইলের উপকারিতা:

এখনকার যুগে কোনো মানুষই ঘরে বসে নেই। অনলাইন বিজনেস এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে যে  কেউ বিজনেস করতে পারে অনলাইনে বেচাকেনার মাধ্যমে। আধুনিক যুগে প্রায় সব পণ্যই অনলাইনে বেচাকেনা করা হয়। ই-কমার্সের এই যুগের অনেক মানুষই বিভিন্ন পেজ এবং অ্যাপসের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে থাকে। । মোবাইল ফোনে অনলাইন বিজনেস করার মাধ্যমে অনেক নারী আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।

৫। সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইলের উপকারিতা:

আধুনিক যুগে মনোরঞ্জনের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া গড়ে উঠেছে।সারা বিশ্বের যেকোন নিউজ সিনেমা ভিডিও গান রাতারাতি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ছড়িয়ে যায়..। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুলে নিজের পরিবার পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে টেক্সট, মেসেজ, ভয়েস কল ও  ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়।

৬।লোকেশন বের করার ক্ষেত্রে মোবাইলের উপকারিতা:

আমরা কোন অজানা জায়গায় গেলে সেখানে পথ না জানলে আমরা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে গুগল ম্যাপস অথবা জিপিএস ট্র্যাক ব্যবহার করে যে কোন রাস্তা পথ বা লোকেশন জানতে পারি এবং গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি।

৭। ছবি তোলা বা ভিডিও করার ক্ষেত্রে মোবাইলের উপকারিতা:

 একটা সময় ছিল যখন ছবি তোলার জন্য স্টুডিওতে যেতে হতো। এখন  স্মার্টফোন ব্যবহার তা সহজ করে দিয়েছে।  মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলা যায় ভিডিও করা যায়। এতে করে দৈনন্দিন জীবনের সব সুন্দর মুহূর্তগুলোকে ক্যাপচার করে স্মৃতি হিসেবে রাখা যায় মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে।

মোবাইল  হলো মানুষের তৈরি সবচেয়ে আশ্চর্যজনক আবিষ্কার। দৈনন্দিন জীবনের সাথী এবং সঙ্গী  মোবাইল । মোবাইলের ব্যবহার মানুষের জীবনকে অনেক সহজ  এবং স্বাচ্ছন্দ্য করে দিয়েছে