মাত্র 7 দিনে মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

আমাদের সৌন্দর্যে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে আমাদের চেহারা। কিন্তু  কখনো কখনো বিভিন্ন ধরনের দাগ এর কারণে তা মলিন হয়ে ওঠে। বিষয়টি এমন নয় যে দাগহীন  ত্বক-ই সুন্দর, কিন্তু দাগ আমাদের আমাদের চেহারার আকর্ষণকে কমিয়ে দেয় এবং ত্বকের  সৌন্দর্যকে ঢেকে দেয়। 

আজকাল  বাজারে অনেক ধরনের সৌন্দর্য বর্ধনকারী ক্রিম পাওয়া যায়, যা আপনার ত্বকের দাগ মুছে  ফেলার গ্যারান্টি দেয় কিন্তু যতবার আপনি সেই ক্রিম গুলো ব্যবহার করবেন আপনার চেহারায়  কেমিক্যালস-এর প্রভাব বাড়তে থাকে, যার দরুন‌ দাগ কমার বদলে আরো বেড়ে যায়। এসব ক্রিম  ব্যবহার করার পেছনে সময় এবং অর্থ দুই-ই ব্যয় হয়। তাই সময় এবং অর্থ ব্যয় না করে  প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিন। প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ঘরোয়া  পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে আপনার ত্বক থাকবে সুরক্ষিত, কারণ এসব উপাদানের থাকেনা কোনো  পার্শ-প্রতিক্রিয়া বরং ত্বক থাকে সুরক্ষিত। তাছাড়া এইসব প্রাকৃতিক উপাদানগুলো খুব  সহজেই আপনি পেয়ে যাচ্ছেন হাতের নাগালে, আপনার নিজ বাসস্থানে-ই।

আমাদের  ত্বকে বিভিন্ন ধরনের দাগ সৃষ্টি হওয়ার কারণ অনেক কিন্তু সচরাচর যে দাগগুলি বেশিরভাগ  আমাদের মানসিকতায়  প্রভাব বিস্তার করে তা  হলো- মুখের কালো দাগ, চোখের নিচে কালো দাগ এবং পিম্পলস‌ ও অ্যাকনির দাগ। 

মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

আজ  আমরা আলোচনা করব কিভাবে খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের এই দাগগুলি প্রতিকার করা  যায়

১) চোখের নিচের কালো দাগ

চোখের  নিচে কালো দাগ সৃষ্টি হওয়া খুব-ই সাধারণ একটি ব্যাপার, কিন্তু এতটাও গুরুত্বহীন নয়।  অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কাজের চাপ, অকারণে রাত জাগা, সারারাত ধরে কাজ করা- এসব কারণ  চোখের নিচে কালো দাগ সৃষ্টি করে এবং চোখ ভারী করে। অনেক সময় আমরা যে পণ্য বা ক্রিম  ব্যাবহার করি তা ঠিকভাবে কার্যকরী হয়ে ওঠেনা এবং সঠিক উপায় কাজ করার বদলে তা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া  সৃষ্টি করে। কিন্তু আর নয় এসব ক্রিম ব্যবহার, এখন শুধুমাত্র ঘরোয়া পদ্ধতিতে একেবারের  জন্য চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা সম্ভব হয়ে উঠবে। 

চোখের নিচের কালো দাগ

চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে চোখের নিচের কালো

 দাগ দূর করা যায়ঃ

১) বেকিং সোডাঃ 

বেকিং সোডায় রয়েছে অধিক মাত্রায় প্রদাহ দমনকারী উপাদান, যা  চোখের নিচে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এটি ত্বককেও আরামদায়ক করে তোলে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা  বাড়ায়।

যা লাগবেঃ 

১ চা চামচ বেকিং সোডা ও পানি।

একটি ছোট পাত্রে এক চামচ বেকিং সোডা নিয়ে তাতে পানি মিশান। অতিরিক্ত  পানি মিশাবেন না।

মিশ্রনটিকে ভালোভাবে নেড়ে নিন এবার হাতের আঙুলের সাহায্যে আলতোভাবে  লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে  ফেলুন।

এই

 মাস্কটি নিয়মিত আপনি আপনার চোখের ব্যবহার করতে পারেন। 

২) লেবুর রস ও বেকিং সোডা

লেবুর  রস ও বেকিং সোডার মিশ্রণটি আপনার ত্বকের লোমকূপ খুলতে সাহায্য করে এবং চোখের নিচের  লোমকূপের ভেতর লুকিয়ে থাকা দাগ সারাতে সাহায্য করে। এই মাস্কটি আপনার ত্বকের ভেতর  মৃতকোষের প্রবেশ রোধ করে। চোখের নিচের কালো দাগ মূলত অতিরিক্ত মাত্রায় কাজের চাপ  এবং মানসিক চাপের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এই মাস্ক ব্যবহারের আপনার চোখের নিচে  জায়গাটি আরামদায়ক করে তুলবে এবং কালো দাগ দূর করবে।

লেবুর রস ও বেকিং সোডা

যা লাগবেঃ 

১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং

 ১চা চামচ লেবুর রস।

কিভাবে করতে হবে?

বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন পেস্টটি যেন  হলুদ রঙের হয়।

 এবার আলতোভাবে যেখানে  দাগ রয়েছে, সেখানে মাসাজ করে লাগিয়ে নিন। 

২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এই ফেইস-মাস্কটি ব্যবহার  করুন।

মাস্কটি ব্যবহারের পর মুখ ধোয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন,

 আর খেয়াল করুন আপনার চোখের নিচের কালো দাগ কিছুদিনের মধ্যেই অনেক দ্রুত কমতে থাকবে।

পিম্পল ও অ্যাকনির দাগ দূর করার উপায়ঃ 

অ্যালোভেরা দারুন উপকারী প্রাকৃতিক একটি উপাদান। অ্যালোভেরার  গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই-ই জানি। 

পিম্পল ও অ্যাকনি

যা লাগবেঃ 

১চা চামচ অ্যালোভেরার জুস, 

১চা চামচ রোজ ওয়াটার। 

কিভাবে করতে হবে?

উপকরণ  দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাতে লাগান।

 ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।