বাচ্ছা প্রসবের পর বেড়ে যাওয়া ওজন কিভাবে কমাবেন ?

আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে বাচ্ছা প্রসবের পর বেড়ে যাওয়া ওজন আপনারা কমিয়ে ফেলতে পারবেন।

তার আগে আমাদের জানতে হবে গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়া স্বাভাবিক।  কিন্তু বাচ্ছা প্রসবের পর কেন আপনার ওজন বেড়ে যায়। এটা কি স্বাভাবিক কোন ঘঠনা। নাকি আসলেই আপনি শিশুর যত্নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারছেন না।

তবে এই ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক কিনা তার জন্য জানা প্রয়োজন আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়া ঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা।

নরমাল ডেলিভারির পর করণীয়,

ডেলিভারি পরেও অনেক মহিলার বৃদ্ধি পাওয়া ওজন কমতে চায় না।  ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যায় তার মূল কারণ হিসেবে হরমোনের পরিবর্তনকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। বাচ্চা হওয়ার পরে অতিরিক্ত ওজন কমানো  দরকার। কারণ অতিরিক্ত ওজন সব সমস্যার মূল কারণ।

যেমনঃ  

  • ডেলিভারির পরে ওজন খুব বেড়ে গেলে তা ডায়বেটিক সহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।  
  • হার্টের সমস্যা হতে পারে।  
  • অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে আর্থাইটিস এর ঝুঁকি বাড়ে।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পর করণীয়,
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পর করণীয়,

এখন আমরা জানবো বাচ্চা হবার পরে ওজন কমানো কতটা দরকার। বাচ্চা হওয়ার কতদিন পরে ওজন কমানো শুরু করা যেতে পারে এই নিয়ে আমরা এখন একটু কথা বলবো।

বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে কিন্তু ওজন কমানোর শুরু করা যায় না। বিভিন্ন হেলথ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন

“বাচ্চা হবার অন্তত দুই মাস পর থেকেই ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত”

গর্ভপরবর্তী অবস্থায় ওজন ফিরে আসতে এক বছর বা তারও বেশি সময় নিতে পারে। অতএব ওজন কমানোর প্রক্রিয়া প্রসবের পরে শুরু করা যাবে না। এতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সিজারের পর ওজন কমানোর উপায়
সিজারের পর ওজন কমানোর উপায়

এখন আমরা বলব কিভাবে আপনারা এই বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন………………

  • খাবার-দাবারের মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে রাখতে পারেন।  
  • এরপর এই যে বিষয়টি আসা যাবে সেটি হল এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামের মাধ্যমে।

প্রথমে আসা যাক খাবার-দাবারের ব্যাপারে। আমাদেরকে সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সঠিক পুষ্টি যুক্ত খাবার যেমন ফল,  শাকসবজি, প্রোটিন জাতীয় জিনিস অবশ্যই থাকে এ ধরনের খাবার মেনু তৈরি করে খেতে হবে।

এরপরই স্বাস্থ্যকর স্নেকস অর্থাৎ নাস্তা যখন খাব, তখন সেটি ও স্বাস্থ্যকর হতে হবে। বাদাম রুটি বারবার করে আমাদের খেতে হবে। কিন্তু অল্প পরিমাণে।

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

পরিমিত খাবার আমরা যখনই  খাব তখনই খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিব।  কিন্তু খাবার সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিন। অন্তত চার থেকে পাঁচবার খাব। কিন্তু সেটার পরিমাণ হবে খুবই অল্প।

ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের লোভ আমরা খুব কম মানুষই সামলাতে  পারি। তাই ওজন যদি আমরা কমাতেই চাই ফাস্টফুড জাতীয় এই ধরনের খাবার ত্যাগ করতে হবে।না খেয়ে থাকবেন না। প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে। না খেয়ে কোন বেলায় থাকা যাবে না।

গ্যাষ্ট্রিক কেন আমাদের হয়ে থাকে?

প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিন খেতে হবে। প্রতি বেলার খাবার প্রতিবেলায় খেতে হবে। কোন বেলায় খাবার বাদ দেওয়া যাবে না।

ওজন কমানোর সেই যে কাজটি খুব বেশি আমাদের করা উচিত যদি আমরা ওজন কমাতে চাই, সেটি হল পানি পান করা।  

প্রতিদিন আমাদের পরিমিত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এর পরিমাণ ৭  থেকে ৮ গ্লাস এর কম হবে না। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে। তাছাড়া মাতৃ দুধের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

ব্রেস্ট টাইট করার উপায়

অ্যালকোহল জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল রয়েছে যেমন সিগারেট, মদ, এই ধরনের খাবার আমাদের ত্যাগ করতে হবে। কারণ এই ধরনের খাবার বাচ্চাদের দুগ্ধপানের সাথে সাথে আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়।

সিজারের পর ডায়েট চার্ট,

বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যতটা সম্ভব তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে যেটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আমরা বিভিন্ন ভাবে আমাদের ওজন কমাতে পারি। যেভাবেই খাবার খায় না কেন আমাদের তার সাথে সাথে পর্যাপ্ত ঘুম দিয়ে রাখতে হবে।

কিটো ডায়েট কতদিন করতে হয়

আমরা যদি পর্যাপ্ত ঘুম না যায় তাহলে সেটি আমাদের ওজনের উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলবে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম খুব প্রয়োজন। তাই অবশ্যই দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা আমাদের ঘুমানো উচিত।

মাত্র ৭ দিনে স্তন টাইট করার উপায়

এখন আসা যাক খাবার এবং ঘুম ছাড়া কিভাবে আমরা আমাদের ওজন  ফিট রাখতে পারব

বন্ধুরা আমাদের মাথায় এতক্ষণে চলে এসেছে ব্যায়ামের কথা। ঠিক বন্ধুরা, খাবার এবং ঘুমের পাশাপাশি যে কাজটি না করলে কোন ভাবেই আমাদের ওজনকে আমরা স্বাভাবিক করতে পারব না সেটি হল ব্যায়াম।  ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা আমাদের শারীরিক ফিটনেস কে রক্ষা করতে পারব।

দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

ব্যায়াম করার সময় আমাদের যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো আমাদের যদি সিজার হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের ব্যায়াম করার শুরু করতে একটু বেশি সময় নিতে হবে।

কারণ সিজারের সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের একটু ক্ষতি হয়ে যায়।  তাই সেটি পুষিয়ে নিয়ে নতুন উদ্যোমে ব্যায়াম শুরু করতে একটু সময় লাগবে।

ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

যদি এর যত্ন না নেয়া হয়, পেটের ব্যায়াম না করা হয় তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই প্রসবের পরে চিকিৎসকের সাথে দেখা করে আমাদের ব্যায়াম করা শুরু করে দিতে হবে।

হাটাহাটি চেয়ে ভাল কোন ব্যায়াম চিন্তা করা যায় না অর্থাৎ শরীর কমানোর জন্য অন্ততপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটা উচিত। এর পর যত্ন এবং বিভিন্ন ধরনের নিয়মের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে পারি।

বন্ধুরা এতক্ষণে জেনে গেলাম  কিভাবে আমরা আমাদের প্রসবের পরের শরীরকে বিভিন্ন এক্সারসাইজ ও খাবারের মধ্য দিয়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারব।

Leave a Comment