আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ত্বককে সবচেয়ে দ্রুত উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং বানানোর জন্য স্কিন ফেয়ারনেস পিলঅফ মাস্ক যেটি ব্যবহার করলে আপনারা একই সাথে দু’রকম বেনিফিট পাবেন। প্রথমত এই মাস্কটি আপনার স্কিনের সকল দাগকে দূর করে দিবে। দ্বিতীয়টি হল এটি আপনার ত্বককে দুর্দান্তভাবে ফর্সা করবে এবং তার সাথে সাথে এই পিলঅফ মাস্কটি আপনার ত্বককে করে দিবে ধবধবে কাঁচের মতো ফর্সা
ফেসপ্যাক তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- ১ টি আলু
- ৩০ গ্রাম পাকা মিষ্টি কুমড়া
- কাঁচা তরল দুধ
- মধু
স্কিন ফেয়ারনেস ফেইসপ্যাক টি তৈরি করার নিয়ম:
- এই মাস্কটি বানানোর জন্য ১ টি আলু ও ৩০ গ্রাম পাকা মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ করে নিতে হবে ।
- আলু ও মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ করে এটাকে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
- আলু ও মিষ্টি কুমড়া ঠান্ডা হবার পর এদেরকে ব্লেন্ড করে এটিকে একটি কাঁচের কৌটায় নিয়ে স্টোর করে রাখুন । এই মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রেখে ৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন
- এবার একটি পরিস্কার বাটিতে ৩-৪ চামচ এই মিশ্রণ নিন।
- এর সাথে এড করুণ ১ চামচ কাঁচা তরল দুধ ও ১ চামচ মধু
- এরপর এদেরকে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
প্যাক টি ব্যবহার করার নিয়মাবলী:
- এই ফেইসপ্যাকটি তৈরি হয়ে গেলে একটি ব্রাশের সাহায্যে চেহারায় ভালভাবে লাগিয়ে নিন।
- যদি আপনাদের কাছে ব্রাশ না থাকে সে ক্ষেত্রে হাত ভালো করে পরিষ্কার করে হাত দিয়েও লাগিয়ে নিতে পারেন।
- ফেসপ্যাকটি মুখে লাগানোর পর 5 থেকে 10 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে যাতে ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে যায়।
- যখন ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে যাবে তখন ঠান্ডা জল দিয়ে আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে ।
স্কিন ফেয়ারনেস ফেইসপ্যাক টি কাজ করার কারণঃ
আলু:
আলুর মধ্যে ত্বকের দাগ ছোপ দূর করার গুণাগুণ পাওয়া যায়। তাছাড়া আলু আমাদের ত্বকের রংকেও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে । এছাড়াও আলুর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও জিংক পাওয়া যায় যা ত্বক হতে ডেড স্কিন সেল, ডার্ক সার্কেল ও রিংকেলস্কে দূর করে দিয়ে ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে ফেয়ারনেস ও গ্লো নিয়ে আসবে।
মিষ্টি কুমড়া:
মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে এ্যানজাইম এবং আলফা হাইড্রোক্সি এসিড রয়েছে যা স্কিন সেল প্রোডাকসনকে বোষ্ট করে , ত্বককে ব্রাইট এবং স্মোথ করে তুলে ।
কাঁচা তরল দুধ:
কাঁচা দুধের মধ্যে ল্যাকটিক এসিড থাকায় দুধ আমাদের ত্বক থেকে ভিবিন্ন ধরণের ডার্ক স্পট,ব্রণের দাগ ,রোদে পুড়াদাগকে দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে।
নোট:
- স্কিন ফেয়ারনেস ফেইসপ্যাক টি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
- তরল দুধ ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে দুধ যাতে খাঁটি হয় ।