পিরিয়ডের সময় মেয়েদের কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

পিরিয়ডের-সময়-কি-খাবার-খাওয়া-উচিত

বন্ধুরা আজ একটি চমৎকার ও সচেতনতা মূলক বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি.

বিষয়টি হল পিরিয়ডের সময় মেয়েদের কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত।  

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ড জিনিসটা কি?

ইংরেজিতে মেনিস্ট্রেশন, যার অর্থ  প্রাইমেট বর্গের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা প্রজননের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতি মাসে এটি হলে এটি কে বাংলায় সচরাচর মাসিক বলেও অভিহিত করা হয়।  প্রজননের উদ্দেশ্যে নারীর ডিম্বাশয় ডিম্বস্ফুটন হয় এবং তা ফেলোপিয়ান টিউব দিয়ে জরায়ুতে চলে আসে এবং তিন থেকে চারদিন অবস্থান করে এ সময় যদি পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনের মাধ্যমে নারীর জরায়ুতে শুক্রানু  না আসে তবে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং জরায়ুর  অভ্যন্তরের ডিম্বাণু  ভেঙ্গে পড়ে। এই ভগ্নাংশ এর রক্তপ্রবাহ থেকে উৎপত্তি রক্তপাত হয়।  কয়েকদিন ধরে লাগাতার যোনিপথে নির্গত হয় একে রক্তস্রাব বা ঋতুস্রাব বলা হয়।

পিরিয়ড কি?
পিরিয়ড কি?

কখনো একে গর্ভস্রাব হিসাবে উল্লেখ করা হয় যদি জরায়ুতে  নারী জরায়ুতে অবমুক্ত দুটি পুরুষের স্খলিত সূত্র দ্বারা নিযুক্ত হয় এন্ড্রোমেট্রিয়াম প্রোথিত হয় তবে আর রক্তস্রাব হয়না। তাই মাসিক রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীর গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এতক্ষণ ধরে উপরে লেখাগুলো পড়ে আমরা জানলাম পিরিয়ড বা মাসিক কাকে বলে এখন আমরা জানবো এই সময়ে প্রতিটা নারীর কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত

পিরিয়ডের সময় কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত

পিরিয়ডের সময় এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা গ্রহণে শরীর সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ও সতেজ থাকবে। নিয়মিত পিরিয়ড হলে শরীরের হরমোনাল ব্যালান্স ঠিক থাকে।

আর একটি কথা মনে রাখা ভাল, পিরিয়ডের সময় আমাদের শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিনারেল বা খনিজ উপাদান বের হয়ে যায়। তাই আমাদের সব ধরনের খাবার এভাবেই গ্রহণ করতে হবে যাতে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদার পাশাপাশি বাড়তি জেনারেল বা অন্যান্য উপাদান বা পদার্থ  যা শরীর থেকে চলে যাচ্ছে তার চাহিদা ও যাতে পূরণ হয়।

১। গ্রিন টি

পিরিয়ডের-সময়-গ্রিন-টি

পিরিয়ডের সময় অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার গ্রহণের পাশাপাশি আমাদেরকে গ্রিন টি খেতে হবে। কারণ গ্রিন টির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  এটির একটি ক্ষমতা থাকে এটি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

২। লেবু

লেবুতে ভিটামিন সি আছে। লেবুর শরবত বা তরকারিতে লেবু দিয়ে খাবার সময় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত যাতে করে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

৩। কলা

কলাতে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি আছে। যেটা পিরিয়ডের সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার। কারণ শরীরে তিন চারদিন ধরে টানা রক্তক্ষরণের কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় যা আমাদের শরীরের এনার্জি অভাব দেখা দেয়। তাই কলা এমন একটি ফল যা খাবার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরের বাড়তি এনার্জি চাহিদা পূরণ হয়।

৪।  আদা ও দারুচিনির চা

আদাও দারুচিনির চা অর্থাৎ স্বাভাবিক ভাষায় বলতে গেলে মশলা চা পিরিয়ডের সময় নিয়মিত খেতে হবে। আমাদেরকে মসলা চা খেতে হবে।  

৫। আনারস

অনিয়মিত পিরিয়ড যাদের, আনারস তাদের জন্য অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। তাই অনিয়মিত পিরিয়ড যাদের তাদের পিরিওড যখন হবে তখন আনারস গ্রহণ করা উচিত।  

৬। কাঁচা পেঁপে

পিরিয়ডের সময় কি কি হয়,

কাঁচা পেঁপে নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াতে সাহায্য করে।

৭। হলুদ গুঁড়ো

পিরিয়ডের সময় হলুদ খাওয়া ভালো। সরাসরি হলুদ খাওয়া না গেলে দুধের সাথে মিক্স করে হলুদ খাওয়া যেতে পারে। এর শরবত হিসাবে খেলে পেটের ব্যাথা কমে যায়।

৮। টক জাতীয় খাবার

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়,

এছাড়াও বন্ধুরা পিরিওডের সময় টক জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এতে রক্তের ফ্লো ভালো হয় এবং ক্লিয়ার ভাবে শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের হয়ে যেতে পারে।

বন্ধুরা,  উপরে যে খাবারের কথাগুলো আমরা বললাম এই সকল খাবার প্রতিটা মেয়ের দৈনন্দিন খাবারের তালিকার  সাথে পিরিয়ডের সময় যোগ করে নিতে হবে।  এতে করে পিরিয়ডের সময় আলাদা যেসকল ভিটামিন মিনারেল এর চাহিদা আমাদের শরীরে থাকে তার অভাব আমরা পূরণ করতে পারব।