পটলের উপকারিতা

পটলের উপকারিতা

পটল সম্পর্কে আশা করি সবারই সম্যক ধারণা রয়েছে । আমরা অনেকের মধ্যেই পটল খুব পছন্দ করি। আবার এমন অনেকেই আছে যারা পটল সবজি হিসেবে পছন্দ করেনা।

পটল বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। পটলের সাথে ইলিশ ভুনা একটি জনপ্রিয় খাবার  . আমাদের বাঙ্গালীদের জন্য।এছাড়াও পটল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে।

কিন্তু আজ আমি আপনাদের সাথে পটলের এমন কিছু উপকারিতার কথা শেয়ার করব, যেটি শুধু সবজি হিসেবে নয়, আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে।

তাই আমি বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, যারা পটল পছন্দ করেনা আজকে আমার এই প্রতিবেদন পড়ার পরে তারা নিয়মিত খাবারের তালিকায় পটল রাখতে স্বচ্ছন্দবোধ করবে।

পটলের অসাধারণ কিছু পুষ্টিগুণঃ

আগেই বলেছি আমরা পটল বিভিন্ন ধরনের সবজি, ভাজি বা বিভিন্ন কোরমা করে খেতে পারি। কিন্তু এছাড়াও পটলের যে সকল পুষ্টিগুণ গুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে……

পটল হচ্ছে উচ্চমাত্রায় আঁশযুক্ত একটি খাবার, যেটা আমাদের খাবার হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি পটলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে।

পটলের উপকারিতা

মাথার টাক নিরাময়ে পটলের উপকারিতাঃ

অনেকেই হয়তো অবাক হয়ে যাবেন একথা শুনে যে, পটলের মাধ্যমে মাথার টাক সারানো যায়। যদি আপনাদের অল্প বয়সে মাথার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে থাকে অথবা মাথার চুল পড়ে গিয়ে মাথা সামনে একেবারে খালি হয়ে গেছে, তারা পটলের রস ব্যবহার করতে পারেন মাথার তালুতে।

যদি নিয়ম করে এই পটলের রস মাথার তালুতে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার মাথার টাক নিরাময় করে দ্রুত চুল গজানোর জন্য কাজ করবে।

ওজন কমাতে পটলের উপকারিতাঃ

যারা ওজন কমাতে চান, তারা ডায়েট চার্টে পটল রাখতে পারেন। কারণ পটলের মধ্যে রয়েছে খুবই কম মাত্রার ক্যালোরি। যেটা আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে দেয় না। কিন্তু পটল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পেট ভরা থাকতে পারে। সুতরাং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে পটলের ভূমিকা অনেক বেশি।

ত্বকের যত্নে পটলের উপকারিতাঃ

যেহেতু পটলের মধ্যে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ ও বিভিন্ন ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে ।

আমরা যদি নিয়মিত খাবারের মধ্যে পটল রাখতে পারি তাহলে এটি আমাদের ত্বককে ফ্রি-রেডিয়েশন থেকে অনেক খানি রক্ষা করতে পারে।

কুষ্ঠ কাঠিন্য ও লিভারের সমস্যা সমাধানে পটলের উপকারিতাঃ

পটলের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে এটি আমাদের খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে।

গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা-দূর-করার-উপায়

তাই যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে বা খাবার হজমে সমস্যা রয়েছে তারা সবজি হিসেবে পটলকে বেছে নিতে পারেন।

পাশাপাশি যাদের লিভারে কোলেস্টেরল বা চর্বি বেড়ে গেছে অথবা লিভার বড় হয়ে গেছে। এই ধরনের সমস্যা কমাতে কিন্তু পটল কাজ করে থাকে।

বাজারে খুবই কম দামে এসব সবজির চাহিদা রয়েছে। তাই পটলের উপকারিতা বুঝে আমরা নিয়মিত পটল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি।