নারীদের গোপনাঙ্গের লোম দূর করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন,লজ্বা নয় জানা জরুরী

গোপনাঙ্গের লোম দূর করার বা গোপনাঙ্গ থেকে লোম তোলার জন্য অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে।যে উপায়েই গোপনাঙ্গের লোম (unwanted hair)তোলা হোক না কেন গোপনাঙ্গের লোম তোলার সময় কিছুবিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখা খুব জরুরী ।

তবে আমাদের গোপনাঙ্গের লোম তোলার বিষয়টি একটি খুবই গোপন বিষয় বলে অনেকেই এই ব্যাপারে উপদেশ বা পরামর্শ নিতে লজ্জা পায়।

গোপনাঙ্গের লোম তোলা আমাদের পায়ের বা বগলের লোম তোলার মতন সহজ নয়। এটি আমাদের শরীরের সবচেয়ে কোমল অঙ্গ এবং খুব সহজেই এর ক্ষতিও হতে পারে। তাই এই অঙ্গের লোম তোলার সময় আমাদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ।

তাই আপনাদের সাথে গোপনাঙ্গের লোম তোলার সময় যে সকল সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত বা যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তা শেয়ার করছি ।

আজকের পর থেকে গোপনাঙ্গের লোম দূর করার বা গোপনাঙ্গ থেকে লোম তোলার সময় এই সাবধানতা নেমে লোম তুলবেন। তা না হলে ধীরে ধীরে আপনার গোপনাঙ্গের ক্ষতি হবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না ।

চলুন, নারীদের গোপনাঙ্গের লোম দূর করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তা জেনে নিই।

১) হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশন পদ্ধতির ক্ষেত্রে সাবধানতাঃ

আমাদের সবার ত্বক এক রকম নয় । নিজের ত্বকের সাথে মিলিয়ে উপযুক্ত প্রসাধনীটি বেছে নেওয়াটা খুব জরুরী । তাই হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশনের ক্ষেত্রে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন ।   

যেমনঃ যাদের শুষ্ক ত্বক (skin) তাদের বেশী ব্যথা পাওয়ার প্রবনতা বেশী। তাই যাদের শুষ্ক ত্বক তারা ময়েসচারাইজার যুক্ত ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন। এতে ব্যথা কম পাবেন।

২) ওয়াক্সিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে সাবধানতাঃ

ওয়াক্সিং পদ্ধতিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।তাই যারা ব্যথা সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের জন্য ওয়াক্সিং না করাই ভালো। বিশেষ করে স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যথা ও ত্বকের জ্বালাপোড়াটা অনেক সময় ধরে থাকে। তাছাড়া ঘন ঘন স্পর্শকাতর অঙ্গে ওয়াক্স করলে র‍্যাশ হবার প্রবনতা অনেক বেড়ে যেথে থাকে ।

৩) শেভিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে সাবধানতাঃ

আপনি যদি শেভিং পদ্ধতিতে গোপনাঙ্গের লোম তোলেন, তাহলে ভাল মানের উপযুক্ত রেজর ও ভালো শেভিং ফোম বেছে নিবে।খারাপ বা পুরানো রেজর ব্যবহার করবেন না।

অনেকে দেখা যায় স্বামীর বা বোনের পুরনো রেজরটাই ব্যবহার করছেন। সেটাও করবেন না। এসব কাজের জন্য আলাদা আলাদা রেজর রাখুন। এবং অবশ্যই ভালো রেজর। তা নাহলে ত্বকে (skin)ইনফেকসন হতে পারে।

সব পদ্ধতির ক্ষেত্রে কমন সাবধানতাঃ

৪) গোপনাঙ্গের লোম দূর করার জন্য যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন, তার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে কোন কোমল সাবান বা বডি ওয়াশ দিয়ে গোপনাঙ্গ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিবেন । যাদের গোপন অঙ্গের লোম (hair) বেশী মোটা বা শক্ত, তাঁরা পরিষ্কার করার সময় ছেঁটে লোম ছোট করে নিতে পারেন । এতে সহজে শেভ করতেও সুবধা হবে, হেয়ার রিমুভালও সহজে হবে।

৫) লোম পরিষ্কার শেষে গোপনাঙ্গের নিতে হবে বাড়তি যত্ন। পরিষ্কার করার পর উক্ত স্থানে ম্যাসাজ করে  ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এটা ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করবে এবং ত্বকে (skin)যে কোন রকম জ্বালাপোড়া কম করবে। ময়েশ্চারাইজার না গ্লিসারিনের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগাতে পারেন।

৬) লোম পরিষ্কারের পর বেশি জ্বালাপোড়া করলে পাতলা কাপড়ে বরফ বেঁধে উক্ত স্থানে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে আরাম সাথে সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত র‍্যাশ হবে না।

৭) ত্বকের র‍্যাশ হওয়া এড়াতে গোপন অঙ্গের লোম পরিষ্কার করার পর ৫-৬ ঘন্টা ঢিলেঢালা নরম পোশাক পরুন । আর এই সময়ে টাইট পোশাক পরবেন না।

নারীদের গোপনাঙ্গের লোম দূর করার সময় এই বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রেখে গোপনাঙ্গ পরিস্কার করবেন ।

Leave a Comment