ডিম খাওয়ার কথা যখন আসে, তখন প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে কোন ডিম আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
বর্তমানে ফার্মের মুরগি বা ফার্মের ডিমের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি পরিমাণে আছে। কিন্তু যদি পুষ্টিগত দিক দিয়ে বিবেচনা করতে যাই তাহলে দেখা যায়, হাঁসের ডিম বা ফার্মের মুরগির ডিমের তুলনায় দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা অনেকাংশে বেশি।
চলুন জেনে নিই………
দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতাঃ
পুষ্টিগুণ বিবেচনা করতে গিয়ে দেখা যায় দেশি মুরগির ডিমের মধ্যে যে পরিমাণ পুষ্টিগত উপাদান রয়েছে তা অন্যান্য ডিমের মধ্যে অনুপস্থিত। ফলে শরীরের যেকোন সমস্যার সমাধান করতে অন্যান্য ডিমের তুলনায় দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে থাকে।
দেশি মুরগির ডিম কেন খাওয়া উচিত!!!
বর্তমান বাজারে যেহেতু দেশি মুরগির ডিমের তুলনায় ফার্মের মুরগির ডিমের আধিক্য বেশি পরিমাণে দেখা যায়, তাই অনেকেই দেশি মুরগির ডিম এর পরিবর্তে ফার্মের মুরগির ডিম খাওয়া পছন্দ বেশি করে এবং সাইজের তুলনায় দেশিমুরগির চেয়ে ফার্মের মুরগির ডিম অনেকাংশে বড়।
ফার্মের মুরগীর পুষ্টিগুণ একেবারে নেই তা বলা কিন্তু ভুল হবে। কারণ ফার্মের মুরগিকে যেখাবার গুলো খাওয়ানো হয়ে থাকে সেগুলা হচ্ছে একেবারেই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার।
কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে দেশি মুরগি যে খাবার গুলো খায় সেগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার। তাই দেশি মুরগির ডিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরিকৃত একটি খাবার।
দেশি মুরগির ডিম খাওয়ার অন্যতম কিছু কারণ হচ্ছে……
বর্তমান সময়ে প্রায় অনেকেই কিন্তু শরীর সম্পর্কে সচেতন। অনেকেই বর্তমানে ডিম খাওয়া খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। কারণ অনেকেরই ধারণা ডিম খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
ঠিক এখানেই দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতাটা লক্ষ্য করা যায়। আপনি যদি নিয়মিত খাবারের তালিকার মধ্যে দেশি মুরগির একটি করে ডিম রাখেন, তাহলে এটি আপনার ওজন বাড়াতে কোন ভাবে কিন্তু সহযোগিতা করবে না।
কারণ দেশি মুরগির ডিমের মধ্যে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকে। যা আমাদের শরীরের ফ্যাট বা চর্বি বাড়াতে যথেষ্ট পরিমাণে ভূমিকা না রাখার সম্ভাবনাই বেশি।
অল্প টাকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডিমঃ
বলা যায় ব্যাচেলরদের জীবনে ডিম অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যা অল্প টাকার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন নিয়ে আসে আমাদের শরীরে এবং অল্প পরিশ্রমে আমরা বিভিন্ন উপায়ে ডিম খেতে পারি।
দেশি মুরগির ডিম সাথে সাথে আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে এনার্জি নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে।
ত্বকের যত্নে দেশি ডিমের উপকারিতাঃ
আমাদের ত্বকের সেলগুলো ঠিক রাখার জন্য ডিমের উপকারি তা অনেক বেশি।কিন্তু সেটা যদি হয় দেশি ডিম, তাহলে তো আর কথাই নেই।
কারণ দেশি ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিনএ, ভিটামিন –বি আমাদের ত্বক ঠিক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে।
বিশেষ করে দেশি ডিমের সাদা অংশ আমাদের ত্বককে মোলায়েম রাখতে অনেক বেশি উপকারী।
শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণে দেশি ডিমের উপকারিতাঃ
অনেক সময় আমাদের শরীরে হরমোনের বিভিন্ন তারতম্য দেখা যায়। যার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এইধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাদের নিয়মিত খাবার তালিকায় অন্তত পক্ষে একটি করে দেশি মুরগির ডিম রাখা আবশ্যক।
দেশি মুরগির ডিমের মধ্যে যে পরিমাণ সেচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা সন্তান উৎপাদন হরমোন নিঃসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও দেশি মুরগির ডিমের কুসুম আমাদের মস্তিষ্ক বিকাশ করতে সহযোগিতা করে।
শরীরের হাড় মজবুত রাখতে দেশি ডিমের উপকারিতাঃ
দেশি মুরগির ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত রাখতে সহযোগিতা করে। এছাড়াও এছাড়াও দেশি ডিমের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম বাড়াতে কাজ করে।