ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে সেরা উপায়, মাত্র ২ দিনে স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে আলুর ফেসিয়াল

রূপচর্চায় আলু কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা অনেকের কাছেই অজানা। আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক । যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।

আলুতে বিদ্যমান বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে করে তুলে দাগ মুক্ত ফর্সা ও উজ্জল।

আলুর ফেসিয়াল আমাদেরকে স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল ফর্সা এবং দাগ মুক্ত ত্বক পেতে সাহায্য করবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা সময় বা সুযোগের অভাবে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করতে পারেন না।

এর জন্য দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আলু দিয়ে ঘরে বসে নিজেই ফেসিয়াল করে নিয়ে ত্বককে করে তুলতে পারবেন স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল ফর্সা আকর্ষণীয় এবং মসৃণ।

তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক, স্থায়ীভাবে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে আলুর ফেসিয়াল করার বিস্তারিত পদ্ধতি।

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে আলুর ফেসিয়াল এর বিস্তারিত পদ্ধতি সমূহঃ

প্রথম ধাপঃ

স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল ফর্সা দাগহীন ত্বক পেতে আলুর ফেসিয়াল করার প্রথম ধাপটি হচ্ছে ত্বক পরিষ্কার করা বা ক্লিনজিং।

ত্বক পরিষ্কার করার জন্য

আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী যেকোনো ক্লিনজার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

বা

কাঁচা তরল দুধ এবং গোলাপ জলের সাহায্যেও ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারবেন।

দ্বিতীয় ধাপঃ

আলুর ফেসিয়াল এর দ্বিতীয় ধাপটি হচ্ছে ত্বক মাসাজ করা। ত্বক মাসাজের জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি মিশ্রণ তৈরী করে নিতে হবে।

যা দিয়ে মিশ্রণ তৈরী করবেনঃ

একটি চামড়া ছিলানো বড় আলোর পেস্ট।

১ চামচ মধু।

৩ চামচ শশার রস।

যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেনঃ

উপকরণ সমূহ একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরী করে নিন।

মিশ্রণটি সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।

তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

তৃতীয় ধাপঃ

ঘরে বসে স্থায়ীভাবে সুন্দর ফর্সা এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ভালো ফেসিয়াল এর তৃতীয় ধাপ হচ্ছে ত্বকে গরম পানির ভাপ লাগানো বা স্টিমিং

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

প্রথমে একটি চওড়া পাত্রে ফুটন্ত গরম পানি নিন।

এরপর মাথার ওপর তোয়ালে ঘুরিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে পাত্র টির ওপর উপুড় হয়ে থাকুন । গরম পানি থেকে উঠা ভাপ সরাসরি আপনার মুখে লাগে।

৫ থেকে ৭ মিনিট এভাবে আপনার ত্বকে গরম পানির ভাপ লাগিয়ে নিন।

চতুর্থ ধাপঃ

আলুর ফেসিয়াল এর চতুর্থ ধাপ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হচ্ছে ত্বকে ফেসপ্যাক এপ্লাই করা। প্রথমেই কিছু উপকরণ এর সাহায্যে ফেইসপ্যাকটি তৈরি করে নিতে হবে।

যা দিয়ে মিশ্রণ তৈরী করবেনঃ

৪ চামচ আলুর পেষ্ট

আধা চা-চামচ কাঁচা হলুদের গুড়া।

৩ চামচ চন্দন পাউডার।

১ চামচ মধু

কাঁচা দুধের উপকারীতা

৪ চামচ কাঁচা তরল দুধ।

যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেনঃ

প্রথমে দুটি বড় কাঁচা আলুর খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে।

এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে সমস্ত উপকরণ সমূহ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিন আলুর অত্যন্ত কার্যকরী ফেসপ্যাক।

তৃতীয় ধাপ পার করার পর ফেইসপ্যাকটি আপনার ত্বকে তুলা অথবা পরিষ্কার নরম কাপড়ের সাহায্যে লাগিয়ে নিন।

এরপর ৩০ মিনিট সময় দিন।

ওই সময়টুকুতে আপনি চাইলে চোখের উপর দুটি শসা স্লাইস করে রেখে দিতে পারেন।

৩০মিনিট পর কুসুম গরম জলে তুলা ভিজিয়ে মিশ্রণটি ঘষে ঘষে তুলে নিন।

সবশেষে ঠাণ্ডা পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

১। আলুর ফেসিয়ালে ব্যবহৃত কোন উপকরণ আপনার ত্বকের জন্য এলার্জিক হলে তা ব্যবহার করবেন না।

২। ফেসিয়াল করার পর অন্তত 24 ঘন্টার কোন ধরনের মেকআপ নিবেন না।

৩। ফেসিয়াল প্লাগিন অথবা ফেসিয়াল করার পর সরাসরি রোদে যাবেন না।

৪। ফেসিয়ালের পর অন্তত 24 ঘন্টা অথবা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৫। ফেসপ্যাক যেন চোখে না যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন।

৬। মুখে হাত দেয়ার সময় হাত পরিষ্কার করে নিবেন অযথা খোঁচাবেন না।

আলুর ফেসিয়াল আপনার ত্বককে দ্রুত সময়ে স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলবে। ত্বকের কালো দাগ বলিরেখা মেছতার দাগ ব্রণের দাগ সবকিছু দূর করে আপনার ত্বককে করে তুলবে কোমল মসৃণ এবং আকর্ষণীয়। তাই আমাদের নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য মাসে অন্তত দুবার আলুর ফেসিয়াল করে নিন।