ব্রণমুক্ত দাগহীন ফ্রেশ সুন্দর ত্বক সবার প্রত্যাশা। তবে নানান কারণে ত্বকের সতেজতা ও মসৃণতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে ওঠে ।
দৈনন্দিন জীবন যাপনে কিছু নিয়ম বা পন্থা বা পদ্ধতি অনুসরন করলে ব্রণ হতে দূরে থাকা যায় ।
তবে আমাদের কিছু অনিয়ম বা অবহেলা কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণ ওঠে ।
আমাদের ত্বকে ব্রণ হলে আমরা নিজের অজান্তে এমন কিছু ভুল করে থাকি যার দ্বারা ব্রণ আরো বেড়ে যায় এবং ব্রণ হতে মুখে দাগের সৃষ্টি হয় ।
তাই আমাদের সবার জানা উচিত ব্রণ হলে কি কি করা উচিত আর কি কি করা উচিত নয় ।
চলুন জেনে নিই ব্রণ হলে কি কি করবেন আর কি কি করবেন না।
ব্রণ হলে কি কি করবেনঃ
১. ত্বক সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। এর জন্য দিনে দু-তিনবার সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আর বাইরে থেকে এসে অবশ্যই মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
২. প্রয়োজনে যদি ভারি মেকআপ করতে হয় তাহলে তেল ছাড়া ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন।
৩. মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করুন।
৪. অতিরিক্ত মসলাদার ও তৈলাক্ত খাবারের কারণে ব্রণ হতে পারে। তাই ব্রণ দূর করার জন্য মসলাদার , প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনিযুক্ত খাবার পরিমাণে কম খেয়ে বেশি ফল ও শাকসবজি খাবেন।
৫.ব্রণ দূর করতে মানসিক চাপমুক্ত পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। তাই যতক্ষণ ঘুমাবেন মনকে চাপমুক্ত রেখে ঘুমান।
৬. ভিটামিন ডি ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে । তাই সকালে সূর্যের আলোতে হাটাহাটি করলে বা গায়ে রোদ লাগালে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে । আর প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৭. যেসব খাবার খেলে ব্রণ, অ্যালার্জি বা একজিমা বেড়ে যায়, সেসব খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ব্রণ হলে কি কি করবেন নাঃ
১. ব্রণে হাত লাগাবেন না, খুঁটবেন না। ব্রণ খোঁটাখুটি করলে মুখে দাগ হয়ে যেতে পারে।
২. যতটা সম্ভব কড়া রোদ এড়িয়ে চলুন।
৩. তেলযুক্ত মসলাদার খবার ,ফাস্টফুড খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
৪.চুলে এমনভাবে তেল দিন, যাতে মুখটা তেলতেলে না হয় অর্থাৎ মুখে যেন মাথার তৈল না নামে।
ব্রণ হলে কি কি করা উচিত আর কি কি উচিত নয় তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । তবে খুব বেশি ব্রণ হলে তার জন্য যদি কোন মেডিসিন ব্যবহার করেন তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন ।