ডালিম বললে সবাই সচরাচর আমরা চিনে থাকি, কিন্তু বেদানা ফলের নাম কি কখনো শুনেছেন……?????
বেদানা নাম টি বললে কেমন জানি একটু অপরিচিত লাগে।
আসলে ডালিমকে অনেকে বেদানা নামেও ডাকে ।
যে নামেই ডাকোক না কেন ডালিমের অনেক পুষ্টি গুণ ও উপকারিতা রয়েছে ।
আজকে ডালিমের বেদানা বা ডালিমের উপকারিতার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।\
চলুন জেনে নেওয়া যাক ……………
ডালিম বা বেদানা ফলের উপকারিতাঃ
ডালিম বা বেদানে আমাদের জীবনে অনেক উপকারী একটি ফল। নিচে ডালিমের উপকারিতার গুলো হল
ডালিম ডায়রিয়া প্রতিরোধে কার্যকরীঃ
ডালিম ডায়রিয়া প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকরী। অর্থাৎ যারা পেটের সমস্যায় ভুগতেছেন,বা ডায়রিয়া সমস্যায় যারা রয়েছেন, তারা কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ডালিম খেতে পারেন। এতে করে আমাদের ডায়রিয়া সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে ডালিমের উপকারিতাঃ
ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই।
আর এই ধরনের ভিটামিনের অভাব আমাদের শরীরে প্রায় সময় দেখা দেয়। আর এই ঘাটতি পূরণ করতে খাদ্যাভ্যাসে অবশ্য ডালিম-বেদানা ফলের উপস্থিতি রাখা বাধ্যতামূলক।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে…… পুরো বিশ্বে প্রায় ৭০% মানুষ কোন না কোন ভাবে কোন না কোন দিক দিয়ে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। আর মানসিক এই ধরনের সমস্যা গুলো আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজের গাফিলতির কারণে হয়ে থাকে। আর এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে আমাদের উচিত খাদ্যাভ্যাসে ডালিম-বেদানা ফলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা।
কারণ ডালিম ফল আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে সজীব রাখে এবং সেগুলোর মধ্যে প্রাণসঞ্চার করার ব্যবস্থা করে দেয়।
মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে দুরে রাখতে ডালিমের ভূমিকাঃ
মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে বা ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যে হ্রাস করতে ডালিম বা বেদনা ফল কিন্তু আরও বেশি কার্যকরী।
নিয়মিত আমরা যদি ডালিম ফল খায়, তাহলে ক্যান্সার হওয়ার প্রকোপ অনেকটা কমে যায়। আর যাদের অলরেডি ক্যান্সার ধরা পড়ে গেছে তারা কিন্তু খাদ্যভ্যাসে ডালিমকে রাখতে পারেন এবং ডাক্তারেরা ডালিম খাওয়ার জন্য ক্যান্সারের রোগীদের কে অনেক বেশি জোর দিয়ে থাকেন।
চুলের যত্নে ডালিমের উপকারিতাঃ
চুলপড়া সমস্যায় যারা ভুগছেন অথবা বয়স একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে যাওয়ার আগে তাদের চুলে পাক ধরেছে অথবা চুল আর লম্বা হচ্ছে না, এ ধরনের সমস্যায় যারা রয়েছেন তারাও কিন্তু বেদনা ফল খেতে পারেন। বেদনা ফল খাওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ডালিমের গুরুত্বঃ
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বেদানা ফল কিন্তু আরও বেশি কার্যকরী।
যাদের শরীরে বলিরেখা বা কালোদাগ দাগ রয়েছে অথবা রোদে পোড়ার বিভিন্ন কালচে দাগ রয়েছে, আপনারা ডালিমের রসের সাথে চালের গুড়া মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। নিমিষেই দাগ চলে যাবে।
অ্যানিমিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ডালিমের উপকারিতাঃ
শরীরে অ্যানিমিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসাবে বেদানা ফল কাজ করে থাকে।
বেদনা ফল নিয়মিত খাবারের মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরের রক্তে গিয়ে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে, এতে করে আমাদের শরীরে অ্যানিমিয়া হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ডালিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করেঃ
ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তারা কিন্তু ডালিম এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। কারণ বেদানা ফল খেলে আমাদের শরীরে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আর এর মধ্য দিয়ে খুব সহজে আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
নোটঃ
যাদের জরায়ু মুখ বড় হয়ে গেছে তাদের জরায়ু মুখ ছোট করার জন্য ডালিমের বাঁকলের রস ব্লেন্ডার করে জরায়ু মুখে লাগালে জরায়ু মুখ ছোট হয়ে আসে। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত।
তাই আমরা আশা করব আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্তত পক্ষে একটি হলেও বেদনা ফল রাখার। কারণ এটা আমাদের শরীরকে নানা দিক থেকে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া বেদনা ফল খেতেও কিন্তু দারুন ভাল লাগে।