ত্বকের দাগ সম্পূর্ণভাবে দূর করে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হতে ডায়মন্ড ফেসিয়াল করে নিন

বর্তমান সময়ে সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন নারী – পুরুষ সবাই বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন। কারণ ত্বকের যত্নে ফেসিয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে ডায়মন্ড ফেসিয়াল হচ্ছে ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ফেসিয়াল।

 তবে অনেকেই  সময় ও সুযোগের অভাবে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করাতে পারেন না। ফলে রূপচর্চার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেটি হয়ে ওঠেনা আমাদের ত্বক হয়ে যায় মলিন বিবর্ণ এবং দাগযুক্ত। তাই বন্ধুরা আমাদের এই আলোচনাটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।

ডায়মন্ড ফেসিয়াল

 কিভাবে  ত্বকের সম্পূর্ণ দাগ দূর করে গভীর থেকে উজ্জ্বল এবং  ফর্সা হতে  ঘরে বসেই ডায়মন্ড ফেসিয়াল করবেন। তার সম্পূর্ণ বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে । আমাদের এই আলোচনাটি সাজিয়েছে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক কিভাবে ত্বকের সম্পূর্ণ দাগ দূর করে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হতে ডায়মন্ড ফেসিয়াল ব্যবহার করবেন।

 ত্বকের সম্পূর্ণ দাগ দূর করে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হতে ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার নিয়মঃ

  দাগ মুক্ত ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল ফর্সা ত্বকের জন্য ডায়মন্ড ফেসিয়াল করতে হলে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

 ক্লিনজিংঃ

 প্রথমেই ক্লিনজিং দুধ দিয়ে মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ডায়মন্ড স্ক্রাব দিয়ে 5 থেকে 7 মিনিট ক্লক এবং এন্টি ক্লক মুভমেন্ট এ ধীরে ধীরে মুখের সবখানেই মাসাজ করুন। এরপর ভেজো কটন দিয়ে মুখ ভালোভাবে বুঝে নিন। ডায়মন্ড স্ক্রাবে আছে  ডায়মন্ড অ্যাস এবং বিভিন্ন ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের নির্যাস যা আমাদের ত্বক থেকে  দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে। ডায়মন্ড স্ক্রাব এর ফলে ত্বকের মৃত কোষ গুলো সতেজ হয়ে উঠে।

লোশন লাগানো বা মশ্চারাইজ করাঃ

 দাগমুক্ত উজ্জ্বল ফর্সা ত্বকের জন্য ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে লোশন ব্যবহার করেন। আপনার ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট থেকে ডিটক্স ডায়মন্ড লোশনটি বের করে নিন। স্ক্রাব এরপর লোমকূপ খোলা থাকে বলে লোশন লাগালে খুব দ্রুতই  সেটি শুষে নেয় এবং এর ফলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ইল্যুশন ত্বককে রিফ্রেশ করে এবং ডিটক্সিফাই করে যার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই পরিষ্কার হাতের লোশন নিয়ে মুখ এবং গলায় মাসাজ করে লাগিয়ে নিন।

ডায়মন্ড  ফেসিয়াল করতে কত টাকা লাগে

  ডায়মন্ড মেসেজিং জেলঃ

 ডায়মন্ড ফেসিয়াল করে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে তৃতীয় পদক্ষেপ হচ্ছে ডায়মণ্ড মেসেজিং জেল এর ব্যবহার। আপনার ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট থেকে প্রথমেই ডায়মন্ড  মেসেজিং জেল টি বের করে নিন। এরপর পরিষ্কার হাতে আলতো ভাবে সেটির মুখে এবং গলায় লাগিয়ে নিন। এবং 5 থেকে 7 মিনিট ম্যাসাজ করুন। এই জেল টি স্ক্রিন কে টানটান করে যার ফলে বলিরেখা এবং বুড়িয়ে যাওয়া ভাব দূর হয়। ব্রণের দাগ কমাতে জেল টি অত্যন্ত উপকারী। এরপর ভেজা কটন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ডায়মন্ড  ফেসিয়াল কিটের দাম

 ডায়মন্ড মাস্কঃ

 দাগমুক্ত উজ্জ্বল এবং ফর্সা ত্বক পেতে ডায়মন্ড ফেসিয়াল এর চতুর্থ ধাপ হচ্ছে ডায়মন্ড মাস্ক  এর ব্যবহার। তৃতীয় ধাপে ডায়মন্ড জেল কটন দিয়ে পরিষ্কার করার পর ডায়মন্ড মাস্ক লাগিয়ে নিন । এরপর শুকানোর জন্য 20 মিনিট মতো সময় দিয়ে ভেজা কটন প্যাড দিয়ে ডায়মন্ড মাস্ক  পরিষ্কার করে নিন।

 এ ডায়মন্ড আজকে রয়েছে হাইড্রোলাইসড় সয়া প্রোটিন এবং ডায়মন্ড অ্যাস যা ত্বকের  গভীর থেকে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল, ফর্সা এবং আকর্ষনীয়।

ময়েশ্চারাইজিংঃ

 ডায়মন্ড ফেসিয়াল এর সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে নেয়া। তাই ভেজা  কটন দিয়ে ডায়মন্ড মাস্ক তুলে নেয়ার পর এক মিলি পরিমাণ ডায়মন্ড লোশন নিয়ে আপনার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে নিন এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।

ডায়মন্ড ফেসিয়াল কোথায় পাবেন?

 প্রায় সব ধরনের বিউটি পার্লার এবং ভালো মানের প্রসাধনীর দোকানসমূহে  ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট কিনতে পাবেন । দাগহীন উজ্জ্বল এবং ফর্সা ত্বক পেতে উন্নত মানের ভালো ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট সংগ্রহ করবেন।

 ত্বকের দাগ সম্পূর্ণ দূর করে উজ্জ্বল এবং ফর্সা ত্বকের জন্য ডায়মন্ড ফেসিয়াল ব্যবহারের পর কিছু সতর্কতাঃ

 সরাসরি সূর্যের তাপে বের হবেন না এবং গরম স্থানে যাবেন না।

  ধুলোবালি এবং ময়লা যুক্ত স্থান পরিহার করুন।

 বাইরে বেরোনোর সময় ছাতা ব্যবহার করুন।

 ফেসিয়ালের পর ত্বক কিছুটা সেনসিটিভ হয়ে যায় ফলে ব্রণ যদি উঠে তাহলে হাত দিয়ে ব্রণ খুঁটবেন না।

 আপনার মুখের ত্বকে ঘষামাজা করবেন না।

 ফেসিয়ালের পর কমপক্ষে 12 থেকে 18 ঘন্টা মুখে ফেইস ওয়াশ এবং সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

 উজ্জল এবং ফর্সা ত্বক পেতে ডায়মন্ড ফেসিয়াল এর পর 24 ঘন্টার মধ্যে মুখে কোন ধরনের প্রসাধনী লাগাবেন না বা মেকআপ করবেন না।

ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট ব্যবহারের সময় ত্বকের যে মাসাজ করতে হয় তাতে অতিরিক্ত চাপ দিবেন না।

 মুখের ত্বকে হাত দেয়ার পূর্বে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন।

ডায়মন্ড ফেসিয়াল ব্রণের দাগ, বলিরেখা, ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ, ইত্যাদি দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে সম্পূর্ণরূপে সতেজ করে তোলে কোন ধরনের অস্ত্র ট্রিটমেন্ট ছাড়াই। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের  কার্যকরী উপাদান যা আমাদের ত্বককে গভীর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তোলে। তাই সুপ্রিয় বন্ধুরা দাগ মুক্ত, ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে  ঘরে বসেই ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার জন্য আমাদের নির্দেশনা সমূহ অনুস্বরণ করুন। হয়ে উঠুন আকর্ষণীয়, কোমল সুস্থ এবং মসৃণ ত্বকের অধিকারী।

 ধন্যবাদ