প্রতিদিন টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পাচ্ছেন?????

বা দুই থেকে তিন দিন পায়খানা হচ্ছে না??????

এই ধরনের সমস্যা নিয়ে যারা কষ্টে আছে তারা দেরি না করে একটা পাকা বা কাঁচা টমেটো কামড়িয়ে সকালে এবং বিকেলে খেয়ে ফেলুন।  দেখবেন ৬-৭ ঘন্টার মধ্যেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। 

ঠিক এভাবে শরীরের আরো অনেক ধরনের সমস্যা সমাধান করতে টমেটোর উপকারিতা অনেক। তাই আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাব টমেটোর উপকারিতা নিয়ে।

টমেটোর উপকারিতাঃ

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা,

টমেটো কে শুধু সবজি হিসেবে মনে করে থাকলে ভুল হবে। যেহেতু টমেটো কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়, তাই একে ফল হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। টমেটোর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা অন্যান্য দামি ফলের মধ্যেও থাকে না। তাই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে টমেটোর উপকারিতা অনেক বেশি।

টমেটোতে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহঃ

টমেটো খেলে মানুষের শরীরে ক্ষুধা বেড়ে যায়। কারণ টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এই ভিটামিন সমূহ পর্যাপ্ত পরিমানে টমেটো তে থাকার কারণে একটি টমেটো খেলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।  যা আমরা আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো দামি দামি ফলেও পাইনা।

পাকা টমেটো খাওয়ার উপকারিতা,

এছাড়া টমেটোতে রয়েছে আমিষ, শর্করা, খনিজ, লবণ ও পানি। যা আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা থেকে দূরে রাখে। 

শরীরের গ্রোথ ক্ষমতা বাড়াতে টমেটোর উপকারিতাঃ

যাদের শরীর সবসময় রোগা থাকে বা শরীরের গ্রোথ ঠিকভাবে হয়না, তারা টমেটোর রস বা টমেটোর সালাদ সকাল-বিকেলে খেতে পারেন। এর ফলে টমেটোতে থাকা আয়রন, লৌহ এবং জিংক আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে খাওয়ার রুচি বাড়ে। এবং ক্ষুধা বেড়ে যায়।

হার্ট অ্যাটাক বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে টমেটোর উপকারিতাঃ

যাদের রক্ত চলাচলের সমস্যা থাকার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে, তারা নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। লাল টমেটো আমাদের শরীরে রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে খুব বেশি ভূমিকা রাখে। যার ফলে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। এছাড়া নিয়মিত টমেটো খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে।

রক্ত শূন্যতা পূরণ করতেই টমেটোর ভূমিকাঃ

যাদের শরীরে রক্ত শূন্যতার কারণে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়, খাওয়ার রুচি কমে আসে, তারা নিয়মিত টমেটোর সালাদ বা টমেটোর রস খেতে থাকুন। টমেটোর মধ্যে থাকা জিংক, আয়রন আমাদের রক্ত শূন্যতা পূরণ করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। 

হজমক্রিয়া বাড়াতে টমেটো কার্যকারিতাঃ

টমেটোর মধ্যে থাকা এসিড আমাদের হজমক্রিয়া বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা অশ্ব এ ধরনের রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত টমেটোর সবজি, টমেটোর সালাদ, টমেটোর রস খাওয়ার রুটিন তৈরি করে নিন। এর ফলে আপনার হজমক্রিয়া স্বাভাবিক হবে এবং আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মতো সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন।

ত্বকের যত্নে টমেটোর উপকারিতাঃ

মুখে টমেটো লাগানোর উপকারিতা,

টমেটো যে শুধু আমাদের শরীরের উপকার করে তা নয়, এটি আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেহেতু টমেটোর মধ্যে উপকারী সব ধরনের উপাদান রয়েছে তাই টমেটো স্লাইস করে আমরা যদি আমাদের ত্বকে ম্যাসাজ করি, তাহলে আমাদের ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার হয়ে যায়। 

পাশাপাশি ত্বকের গ্লো বাড়াতে টমেটোর সাথে পরিমাণমতো এলোভেরা দিয়ে যদি প্রতিদিন আমাদের মুখ পরিষ্কার করি, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ত্বকের গ্লো অনেক বেশি বেড়ে যাবে। 

অতএব বন্ধুরা টমেটো এমন একটি উপাদান যেটির উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবেনা। তাই আজকের প্রতিবেদনে টমেটোর যে উপকারী দিকগুলো আপনাদেরকে জানালাম আপনারা তা নিজেদের মধ্যে এপ্লাই করার চেষ্টা করবেন।