চমক দেখতে রাতে পান করুন জাফরান দুধ!

কপার,ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন সি ও আয়রন সহ প্রায় ১৫০টির বেশি উপাদান রয়েছে জাফরানের মধ্যে । জাফরানের মধ্যে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় ও উপকারি । আর দুধের সাথে মেশালে জাফরানের গুনাগুন আরো বেড়ে যায় ।

জাফরান খাওয়ার উপকারিতা

জাফরান দুধের সাথে মিশিয়ে খেয়ে খাওয়াকে অনেকে জাফরান দুধ খাওয়া বলে। এই জাফরান দুধ আমাদের শরীরের জন্য নানান উপকারিতা বয়ে আনে। 

শরীরের রং কে ফর্সা করতে, উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করে দিতে জাফরান দুধের ভূমিকার জুড়ি নেই।

এছাড়াও জাফরান দুর্যোগে ঝলমলে করে তোলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সহ নানা উপকারিতা দিয়ে থাকে। জাফরান দুধের সকল উপকারিতা পাবার জন্য এখনো যারা নিয়মিত জাফরান দুধ পান করেন না তারা আজ থেকে জাফরান দুধ পান করা শুরু করতে পারেন ।

আপনারা যদি নিয়মিত জাফরান দুধ পান করেন তাহলে এর উপকারিতা কারণেই আপনারা আশ্চর্য রকম চমক দেখতে পাবেন । 

জাফরান তেল এর উপকারিতা

এতক্ষণে নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জেগেছে পান করার জন্য জাফরান দুধ কিভাবে তৈরি করব?

হ্যাঁ বন্ধুরা অনেকেই জাফরান দুধ পান করতে চাইলেও এটি সঠিকভাবে তৈরি করতে পারে না । জাফরান দুধের উপকারিতা পাবার জন্য এটিকে সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে ।

এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে জাফরান তৈরি করতে হবে এবং এটি পান করার সঠিক নিয়ম ।

আপনারা যদি এটি সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করে সঠিক নিয়মে পান করেন তাহলে জাফরান দুধের সবটুকু উপকারিতা পাবেন।

 জাফরান দুধ যেভাবে বানাবেনঃ 

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ 

কাঁচা দুধের উপকারীতা

১ গ্লাস গরুর খাঁটি দুধ

 ১ চিমটি জাফরান এবং  

১ চামচ খাঁটি মধু

জাফরান দুধ যেভাবে বানাতে হবেঃ 

গর্ভবতী মায়ের জন্য জাফরানের উপকারিতা

১। সবার প্রথমেএকটি পাত্রে গরুর দুধ নিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন ।

২। এটি সেদ্ধ করার পর এর মধ্যে জাফরান দিয়ে আরও দুই থেকে তিন মিনিট সেদ্ধ করে রেখে দিন।

৩। দুধ যখন কুসুম গরম হয়ে আসবে তখন একটি গ্লাসের মধ্যে ঢেলে নিন এবং এর সাথে মধু যোগ করে নিন।

জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

৪। এরপর মধু খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নেবেন।

জাফরান দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও নিয়মঃ

 উপযুক্ত সময়ঃ

জাফরান দুধ পান করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল রাত।  রাতে ঘুমাবার আগে এক গ্লাস জাফরান দুধ পান করে ঘুমিয়ে গেলে এর সমস্ত উপকারিতা এবং কার্যকারিত গুলো খুব ভালোভাবে পাবেন। 

খাবার নিয়মঃ

এটি কুসুম গরম থাকতেই খেয়ে খেয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা অবস্থায় জাফরান দুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয় । এটি কুসুম গরম থাকতেই খাওয়া উপকারী । 

সতর্কতাঃঃ

১। বাজারে কম দামের জাফরান কিনতে গিয়ে ভেজাল জাফরান কিনবেন না। 

ভালো মানের জাফরান যেকোনো সুপারশপে পাওয়া যেতে পারেন।

জাফরান পান করার উপকারিতা

২। জাফরান দুধ তৈরি করার জন্য খাঁটি গরুর দুধ ব্যবহার করবে। 

৩। জাফরান দুধ তৈরি করার সময় অর্গানিক মধু না পেলে এটি বাদ দিতে পারবেন। তবে মধুর পরিবর্তে কোন ধরনের চিনি বা কোন মিষ্টি ব্যবহার করবেন না। মধু ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই বাজার থেকে খাটিঁ মানের মধু সংগ্রহ করবেন।  

Leave a Comment