জাফরান বা কেশর শব্দটার মধ্যেই একটা রাজকীয় আমেজ রয়েছে!এবার সে রাজকীয়তার ছোঁয়া চাইলে আপনার চুলেও লাগাতে পারেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এক চিমটি জাফরানের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ঝলমলে চুলের চাবিকাঠি।

বিশেষত যাঁদের চুল উঠে টাক পড়ে যাচ্ছে, তাঁদের জন্য জাফরান খুবই উপকারী! পাশাপাশি খুশকি দূর করে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জাফরান কাজ করে থাকে।

কাজেই আপনার সমস্যা চুল ওঠা, টাক পড়া বা খুসকি, যাই হোক না কেন, সমস্যা সমাধানে হাজির জাফরান!
দেখে নিন কীভাবে জাফরান ব্যবহার করে চুল পড়া বন্ধ করবেন ও খুশকি দূর করবেন ।
চুল পড়া বন্ধ করতে জাফরান

জাফরানের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুল পড়া দ্রুত বন্ধ করতে পারে। জাফরান চুলের গোড়ায় গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল মজবুত করে তোলে,ফলে চুলের বৃদ্ধিও দ্রুত হয়ে থাকে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন

অল্প দুধে কিছু জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। তাতে অল্প যষ্টিমধু যোগ করুন।
মিশ্রণটি একটু চটকে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট চুলে আর স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন।

১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে।
খুশকি দূর করতে জাফরান

একটানা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে খুশকি কমে যায় বটে, কিন্তু চুলও খারাপ হয়ে যায়। তাই খুশকি কমাতে আস্থা রাখুন জাফরানের উপর।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
এক চিমটি জাফরান গুঁড়া করে নিন। তাতে এক গ্রাম গোলমরিচ গুঁড়া মেশান ।
এবার এই মিশ্রণটা ৫০ মিলি কোল্ড প্রেসড তিল তেলের সাথে মিশিয়ে দিন।

মাঝারি আঁচে হালকা গরম করে চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগান।
স্ক্যাল্পে লাগানোর ১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি কয়েকদিন নিয়মিত লাগালেই বিদায় নেবে খুশকি।
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের যত্ন নিতে জাফরান

রোদ, দূষণ, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের মতো নানা কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত চুলে ব্যবহার করুন জাফরান আর ফিরে পান চুলের হারিয়ে যাওয়া সুস্বাস্থ্য।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
এক চা চামচ জাফরান একটু গুঁড়া করে নিয়ে আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা হালকা আঁচে ৫ মিনিট গরম করুন। তারপর ঠান্ডা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে বোতলে ভরে রেখে দিন।

জাফরানের গুণ ধীরে ধীরে তেলে মিশতে শুরু করবে। এই তেল অল্প করে নিয়ে নিয়মিত চুলে আর স্ক্যাল্পে মাখুন।
এতে একদিকে যেমন চুল ধীরে ধীরে তার ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে, তেমনি চুল পড়াও কমবে। প্রতিবার ব্যবহার করার সময় বোতলটা ঝাঁকিয়ে নেবেন।