গর্ভাবস্থায় কেন কলা খাওয়া জরুরী।কলার উপকারিতা

প্রতিটি নারীর জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত হচ্ছে মা হওয়া। সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি মাকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ। এই সময়ে নারীর মনের উত্তেজনা আবেগ উদ্বেগ এবং খুশি বুঝা মা হয়েছেন এমন নারী ছাড়া অন্যদের জন্য খুব অসম্ভব একটা ব্যাপার।

প্রতিটি নারী তার গর্ভের সন্তান নিয়ে প্রচুর উদ্বেগ থাকে!

আমার সন্তান ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কিনা?

ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে কিনা ? 

এই রকম হাজারো চিন্তা প্রতিটি গর্ভবতী মাকে প্রতিটা মুহূর্তে ঘিরে রাখে ।

এই সময় প্রতিটি নারী দরকার গর্ভের সন্তান যেন সঠিক পুষ্টি পায় সেই অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা। 

আর গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার গ্রহণ করতে হয় সেখান থেকে অনেকগুলো পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে কলা এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যেটি গেলে সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়। 

তাই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি কি উপকার পেতে পারেন।

চলুন দেখে নিই গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতাঃ

পরিপূর্ণ পুষ্টি পাবেঃ 

কলার মধ্যে সবগুলো ভিটামিন এর পুষ্টিগুণ লক্ষ করা যায় তাই গর্ভাবস্থায় কলা খেলে গর্ভের সন্তানের কাছে পৌঁছে যাবে এবং সন্তান পরিপূর্ণভাবে পুষ্টি পাবে ।

তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকে প্রতিদিন একটি করে হলেও কলা খাওয়া দরকার কারণ কলা খেলে সন্তান সম্পূর্ণ পুষ্টি পাবে আর সুস্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণ দেহের অধিকারী হবে।

বমি বমি ভাব দূরঃ 

বমি বমি ভাব যেন নারীর মা হওয়ার প্রথম লক্ষন এমনটাই মনে করে সাধারণ মানুষ জন । কিন্তু এই বমি বমি ভাব মাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।

গর্ভাবস্থায় বমি বমি  ভাবের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য নারীরা খেতে পারেন একটি কলা। এটি বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া থেকে আটকাই তাই যাদের বমি বমি ভাব বা বমি হয় তারা কলা খেতে পারেন।

এছাড়াও কলা

গর্ভাবস্থায় শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে অনেক বেশি সহায়তা করবে।

অটিস্টিক শিশু জন্ম হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে ।

গর্ভ কালীনসময় মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখে ।

অম্লতা এবং অম্বল প্রতিরোধে সহায়তা করে অর্থাৎ গ্যাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে

আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে

গর্ভবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে ।

উপরে উল্লেখিত উপকারিতার কথা মাথায় রেখে গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর উচিত খাদ্যতালিকায় কলাকে অন্তর্ভুক্ত করা। যাতে করে নিজের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি বাচ্চার সুস্বাস্থ্যও নিশ্চিত করা যায় ।