কিডনি ও পিত্তথলির পাথর | কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা!

কিডনি ও পিত্তথলির পাথর | কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা!

কিডনিতে পাথর রোগটি হয় যখন মূত্রনালীর মধ্যে একটি কঠিন উপাদান দেখা যায়। কিডনিতে পাথর সাধারণত কিডনিতে গঠিত হয় এবং কিডনিতে এই পাথর বিস্তৃত থাকে।

একটি ছোট পাথর উপসর্গ সৃষ্টি না করে ও  কিডনিতে গঠিত হতে পারে। যদি একটি পাথর ৫ মিলিমিটার অর্থাৎ ০.২ থেকে বেশি হয়, এর ফলে প্রস্রাবে বাধা হতে পারে। যার ফলে নিচের পেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও বেদনাদায়ক প্রস্রাব ও প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে। প্রায় অর্ধেক মানুষের দশ বছরের মধ্যে আরেকটি পাথর হতে পারে।

পিত্তথলির-পাথর

মানুষের পাথরগুলো জেনেটিক্স বা পরিবেশগত কারণে গঠিত হয় এর কারণগুলো হলো

  • উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ
  • ওজন বৃদ্ধি 
  • দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খাওয়া
  • ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে অথবা ক্যালসিয়ামের সম্পূরক খাবার খাওয়া
কিডনিতে-পাথরের-কারণ
কিডনিতে পাথরের কারণ
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পদার্থ না খাওয়া

যখন প্রস্রাবের মধ্যে উচ্চ ঘনত্ব পরিমাণে প্রোটিন বের হয়ে যায় তখন আমাদের শরীরে কিডনির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

কিডনিতে পাথরের প্রকারবেধ

কিডনিতে যে পাথরগুলো হয় তা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে

ক্যালসিয়াম পাথর

যেমন ক্যালসিয়াম পাথর। পাথর গুলো বেশিরভাগ কিডনির পাথর এই ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণত খাদ্য ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। কিছু কিছু খাদ্য যেমন

  • শাকসবজি,  
  • ফলমূল,  
  • বাদাম,
  • চকলেট,
  • উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে,
গ্যাষ্ট্রিক-কেন-আমাদের-হয়ে-থাকে
  • উচ্চমাত্রার ভিটামিন ডি-এর খাবার
  • বাইপাস সার্জারি এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে

প্রস্রাবের ক্যালসিয়াম ঘনীভূত হয় আর ক্যালসিয়াম পাথর সৃষ্টি হয়।  এরপরে আশা যাক,

সংক্রমণের কারণে

সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে সেগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এবং বেশ বড় আকারের হয়।

কিডনি-ভালো-রাখার-উপায়
  • ইউরিক এসিডের সমস্যা যাদের আছে।
  • পানিশূন্যতা আছে।
  • আমিষ যুক্ত খাদ্য গ্রহণ এবং
  • গেঁটেবাত যাদের আছে তাদের এই পাথরগুলো হয়।  
  • এছাড়া জিনগত কিছু কারণে এবং
  • রক্তের সমস্যা থাকলে এই পাথর হয়ে থাক।

সাধারনত বংশগত কোন সমস্যার কারণে এটি সৃষ্টি হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ এমিনো এসিড বের হয়ে যায়।  এমিনো  এসিড বের হয়ে গেলে শরীরে এবং কিডনিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।  এবং পরবর্তীতে পাথরের মতো সমস্যা হয়। যাদের পাথর হতে পারে যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা খুব বেশি জরুরি।

কিডনির-ব্যথা-দূর-করতে

এখন আমরা জানবো কখন আমাদের পাথর হয়েছে তা আমরা বুঝতে পারব অর্থাৎ পাথর হলে শরীরে কি কি লক্ষণ দেখা যায়

পাথর হলে শরীরে কি কি লক্ষণ দেখা যায়

মূত্রনালীতে পাথর না যাওয়া পর্যন্ত কিডনিতে পাথর হয়েছে তার কোন লক্ষণ ও উপসর্গ সাধারণত বোঝা যায় না। তবে কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত যে সকল লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা যায় তা হল…………

  • পেটের দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যাথা হওয়া ও তলপেটে এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া।
  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া।  
  • প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া।  
সিজারের-পর-ওজন-কমানোর-উপায় (1)
  • যদি কোনো সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনি হওয়া।  
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

উপরোক্ত লক্ষণ গুলো সাধারণত কিডনিতে পাথর হলে আমরা দেখতে পায়।  এ ধরনের লক্ষণ গুলো যদি আমরা দেখি তখন আমাদের আর দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কিডনি থেকে পাথর প্রতিরোধঃ  

কিডনি থেকে পাথর যদি আমরা প্রতিরোধ করতে চায় তাহলে আমরা কিছু দৈনিন্দিন জীবনে রুটিন মেনে চললে খুব সহজে আমরা এই রোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবো।

  • প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
  • দুগ্ধজাত খাবার কম খেতে হবে।
  • লবণ জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।  
শীতকালে-পানি-পান-করার-উপকারিতা
পানি পান করার উপকারিতা
  • ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।  
  • নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আমাদের চেকআপ করতে হবে বা ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

কারণ কিডনি সমস্যায় প্রাথমিক স্তরে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই আমাদেরকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  তারপরেও যদি আমাদের কিডনিতে পাথর চলে আসে তাহলে আমাদের ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে এর যথাযথ চিকিৎসা করা উচিত।