আমাদের শরীরের বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যের সবচেয়ে প্রধান আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে আমাদের ঠোঁট।
সুস্থ, সুন্দর, কোমল, গোলাপি এবং মসৃণ ঠোঁট আমাদের সকলেরই প্রত্যাশিত। তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের ঠোঁট আবহাওয়া, বাহ্যিক পরিবেশ এবং অনেকের জিনগত এবং বংশগত কারণে কালো হয়ে গেছে।
তাই বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে কালো এবং রুক্ষ, শুষ্ক, ঠোঁটকে অত্যন্ত সুন্দর, কোমল, মসৃণ এবং গোলাপী করার জন্য উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
বন্ধুরা তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি কিভাবে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে কালো ঠোঁটকে সম্পূর্ণ গোলাপি এবং শিশুদের ঠোঁটের মতো কোমল করে তুলবেন তার অত্যন্ত কার্যকরী কিছু কৌশল ।
তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে কালো ঠোঁটকে গোলাপি এবং কোমল করার অত্যন্ত কার্যকরী কিছু কৌশল।
কালো ঠোঁট গোলাপি এবং আকর্ষনীয় করে বাচ্চাদের মত কোমল ঠোঁট পাওয়ার ঘরোয়া কৌশল সমূহঃ
নারিকেল তেল এবং চিনির স্ক্রাবঃ
1 চা চামচ চিনি, হাফ চা চামচ নারকেল তেল এবং 1 চা চামচ লেবুর রস একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
মিশ্রণটি আংগুল অথবা নরম ব্রাশের সাহায্যে নিয়ে আরো কিছু চিনির কনা যোগ করে নিয়ে ভালোভাবে ঠোঁটে মালিশ করতে হবে।
তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর ঠোঁট কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করে নিতে আপনার ব্যবহারের লিপবামটি লাগিয়ে নিন।
মিশ্রণটি ফ্রিজে এয়ার টাইট করে রেখে দিলে এক সপ্তাহ মতো ব্যবহার করা যায়।
হলুদঃ
হলুদের গুঁড়া এবং দুধের মিশ্রণে আপনার ঠোঁটের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমাণ মতো একটি ঘন মিশ্রণ তৈরী করে নিন।
আংগুল অথবা নরম ব্রাশের সাহায্যে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে আলতো ভাবে স্ক্রাব করে নিন।
তিন থেকে পাঁচ মিনিট হলুদের মিশ্রণটি ঠোঁটে স্ক্রাব করার পর কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
তারপর ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহার করুন।
মধুঃ
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে, ঠোঁটকে স্থায়ীভাবে গোলাপি করতে এবং কোমল রাখার জন্য মধু অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান।
রাতে শুতে যাওয়ার পূর্বে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে নিন।
তিন থেকে পাঁচ মিনিট আলতোভাবে মাসাজ করুন।
এরপর ঘুমিয়ে পড়ুন সকালে উঠে কুসুম গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে নিয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিন।
রাতে মধু ব্যবহার করে শুলে সারারাত ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় থাকে ফলে রুক্ষ হয় না।
মধু প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁটের কালো দাগ সম্পূর্ণরূপে দূর করবে।
এবং ঠোঁটকে গভীর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
১। ঠোঁটকে গোলাপি করার জন্য উপরে উল্লেখিত কোন উপকরণ ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁটে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকবেন।
২। বিভিন্ন উপকরণ লাগিয়ে ঠোঁট স্ক্রাপ করার সময় অতিরিক্ত চাপ দিবেন না।
আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ঠোঁট। তাই কালো ঠোঁট নিয়ে আর কোনো দুশ্চিন্তা নয়। সম্পূর্ণ ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের নির্দেশিত পন্থা সমূহ অনুসরণ করে নিজের ঠোঁটকে করে তুলুন স্থায়ীভাবে গোলাপি এবং বাচ্চাদের ঠোঁটের মতো কোমল এবং দাগ মুক্ত।