ত্বকের জন্য কফির উপকারিতা

কফি আবিস্কারের পর থেকে সুস্বাদু পাণীয় হিসেবে পরিচিত ও ব্যবহৃত হয়ে আসলেও উজ্জ্বল, ফর্সা ত্বকের জন্য কফির বিকল্প নেই বললেই চলে।বালিকা,কিশোরী,মহিলা সব বয়সের ,সব ধরণের ত্বকের সাথে সহজেই মানানসই বলে রূপচর্চা করার জন্য  অনেকে কফির  বিকল্প খুজঁতে যান না।উজ্জ্বল,ফর্সা,মসৃণ কোমল ত্বক পেতে যুগ যুগ ধরে কপি দিয়ে রূপচর্চার প্রচলন প্রচলিত হয়ে আসছে এর যাদুকরী শক্তির প্রভাবে।কফির ফেইসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে তরুণ ঊজ্জ্বল ও ফর্সা হয়ে ওঠার  ফলে সকল ধরণের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পণ্যের সাথে তুলনা করলে কপির জনপ্রিয়তা ও কার্যকারিতা এ সকল পণ্যের চেয়ে এগিয়ে থাকে।

ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম

কফির উপকারিতাঃ

  •  কফির মধ্যে থাকা আন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো ও রোদে পুড়া দাগকে দূর করে দিয়ে ত্বককে ফর্সা করে তুলতে পারে নিমিশেই ।
  • কফি ত্বক হতে অনমনীয়তা দূর করে দিয়ে ত্বককে নমনীয়  ও টানটান করে তুলে।
  • কফি ত্বক হতে বলিরেখা ,ফাইন লাইনসের মত সমস্যাকে মুছে দিয়ে ত্বককে পরিস্কার ও তাজা রাখে।
  • রোদের সংস্পর্শে এলে অনেক সময় ইউ ভি ডেমেজ শুরু হয় । কফির মধ্যে থাকা উপাদান গুলো ত্বককে ইউ ভি ডেমেজ অর্থাৎ সূর্যের অতি ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • ত্বকে বয়সের চাপ সৃষ্টির জন্য দায়ী ফ্রী-রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বককে তরুণ করে তুলা কফির অন্যতম কাজ।
  • কফি ত্বকের অসমান রং কে সমান করে ত্বকের রং এর ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • কফি গ্রেট  স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে ত্বককে নরম ও কোমল করে ।
  • কফি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
  • পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ,দুঃচিন্তা ,জেনেটিক সমস্যা ইত্যাদি কারণে হওয়া চোখের নিচের কালো দাগকে (ডার্ক সার্কেলস)মুছে দিয়ে এটি চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখে।
  • চোখের নিচের কালো দাগের সাথে সাথে কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন চোখের অতিরিক্ত ফুলা কমিয়ে চেহারাকে স্বাভাবিক করে তুলে।
  • কফির মধ্যে থাকা আন্টি- ইনপ্লেমেটরি প্রোপারটি ত্বক হতে জ্বালা কমিয়ে ত্বককে প্রশান্ত করে তুলে।
কফির উপকারিতা

ত্বকের জন্য কফির উপকারিতা এ সকল গুণের ফলে আপনি অনায়াসে ত্বকে কফির ব্যবহার করতে পারেন। এই সকল উপকারিতা জানার পর আশা করি আজকে থেকে কপি ব্যবহার করতে আর কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়। কফির ফেসপ্যাক কিভাবে বানাতে হয় তা জানার জন্য আমার ওয়েবসাইটের এই পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন।

Leave a Comment