আজকে আপনাদের সাথে আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, যেটা আপনাদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ। বিষয়টি হচ্ছে কিভাবে আপনারা আপনাদের বাড়তি ওজন মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
তার আগে আমার বন্ধুদের সাথে একটা বিষয় শেয়ার করতে যাচ্ছি, সেটা হল বর্তমান সময়ে ওজন বাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে তো ওজন বাড়া টা একটা অভিশাপের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
তাহলে বন্ধুরা, আর দেরি না করে আপনারা আমাদের পরামরশ গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজে আপনারা আপনাদের বাড়তি ওজন কমিয়ে নিজেকে সুদর্শন করে গড়ে তুলতে পারবেন।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমাদের সেই কার্যকরী উপায় গুলো কি????
প্রথমে যে কাজটি আপনাদের করতে হবে সেটি হলো আপনার উচ্চতা এবং বয়সের সাথে আপনার ওজনটা তুলনা করে দেখতে হবে।
যদি দেখেন আপনার ওজন বেশি তাহলে সেটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। মেনে নিতে হবে এটা যে আপনার ওজনটা স্বাভাবিক নয় এবং একটা মানুষের যতটুকু ওজন থাকা দরকার তার অনেক উপরে।
দ্বিতীয়তঃ
আপনাকে মনে স্থির করতে হবে আপনার ওজন কমানো দরকার এবং আপনি ওজন কমাতে চান। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য আপনি নিজেকে স্থির রাখতে পারবেন এবং শেষপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আপনি পৌঁছাবেন।
যদি কেউ এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে এবং সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিজের মধ্যে থাকে, তাহলে ৩০ দিনে ওজন কমানোর জন্য একটি পরিকল্পনা আমাদের আছে যা সত্যিই আপনাদের ৩০ দিনের মধ্যে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনারা ৩০ দিনে সেই ওজন কমিয়ে ফেলবেন।
৩০ দিনে ওজন কমানোর একটি সহজ খাদ্য পরিকল্পনা সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করুন । সঠিক খাবার খাওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া উচিত ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। রাত নয়টার পর রাতের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ কাজ করে নিবেন।
বেশিরভাগ ওজন বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অতিমাত্রায় ভারী নাস্তা গ্রহণ করা। সব নাস্তা খারাপ নয় কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিস্কুটের বদলে বাদাম অথবা সালাদ খান। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার গ্রহণ করা থেকে দুরে থাকুন।
কার্ডিও এর পরিবর্তে হাঁটাকে আপনি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই হাঁটা বা কার্ডিও দুটির সমন্বয় রাখতে হবে।
কিন্তু আপনারা কি জানেন কতটুকু হাটা আমাদের জন্য কার্যকর বা কিভাবে আমাদের হাঁটা উচিত। সকালে ৪৫ মিনিটের জন্য হাটা আপনার শরীরে ১৬০ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ করতে পারে। যদি আপনি আরও দ্রুত হাঁটতে পারেন তাহলে এটি অবশ্যই আপনাকে আরো বেশি ক্যালোরি খরচ করতে সাহায্য করবে। ফলে এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং আরও দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আপনাদের মধ্যে কতজন আসলে এটি সম্পর্কে শুনেছেন। অনেকে বলে টিভি দেখার সময় ব্যায়াম করা নিজেকে অলসতা এবং শ্রমবিমুখতা করার বা দূরে রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়। সারাদিন হাঁটা এবং ব্যায়ামের পর টিভি দেখার সময় বিজ্ঞাপন বিরতি আপনি যদি কিছুক্ষণ লাফাতে থাকেন তাহলে এটি আপনার কোন ক্ষতি করবে না বরং এটি আপনি যে চা খেয়েছেন তা হজম করণীয় সাহায্য করবে।
ওজন হ্রাস করা সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে আপনি ওজন হ্রাস করতে পারবেন না। তাই আপনার জীবন এ অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে এমন খাদ্য তালিকার কিন্তু অভাব নেই। শাকসবজি থেকে শুরু করে ডাল ডিম চর্বিহীন মাংস সবকিছুতে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাবেন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার কে না বলুন।
এরপরে আপনাকে যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হল মিষ্টিজাতীয় খাবার বা চিনি থেকে বিরত থাকা
এর পরে আপনি গ্রিন টি নিতে পারেন।এবং সকল ধরনের ভাজা-পোড়া খাবার দুরে রাখতে পারেন।
উপরের নিয়মগুলোর কথা এখন আমি আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমার বন্ধুরা যদি আমার এই কথা গুলো অনুসরন ঠিকমতো করেন, তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে অভূতপূর্ব একটি উন্নতি আপনার শরীরে আপনারা দেখতে পাবেন।
ধন্যবাদ
