১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর কার্যকরী কিছু উপায় সমূহ

আমরা কমবেশি সবাই আমাদের ওজন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। যাদের ওজন নিজেদের উচ্চতার চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে  তারা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেও ওজন কমাতে পারছেন না বরং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে বসেছেন।

আপনাদের সুস্বাস্থ্য এর কথা চিন্তা করে আমাদের এই আলোচনাটি সাজানো হয়েছে। কিভাবে 1 মাসে 10 থেকে 15 কেজি ওজন খুব স্বাভাবিকভাবেই কমিয়ে আনবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

loss weight in bangla

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মোটা স্বাস্থ্য কারোরই কাম্য নয়। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ওজন কমানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করার পরেও নিজেদের স্বাস্থ্যকে ফিট রাখতে পারছেন না।

ওদের এই আলোচনাটি সাজিয়েছি আপনাদের জন্য কিভাবে 1 মাসে 10 কেজি ওজন কমাবেন তার অত্যন্ত কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক এক মাসে 10 কেজি ওজন কমানোর পদ্ধতি সমূহ।

১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর কার্যকরী কিছু উপায় সমূহঃ

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনঃ

১ মাসে ১০ থেকে 15 কেজি ওজন কমানোর জন্য আপনাকে প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার খাদ্যাভ্যাসে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার খাদ্যাভ্যাস যেন নিয়ম মেনে,  প্রতিদিন একই সময়ে হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

সকালবেলা ভারী নাস্তা দুপুরে ভাত এবং রাতের বেলা রুটি বা অন্যান্য হালকা জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাঝখানের সময়টাতে ফলমূল খেতে পারেন। এই খাদ্যাভ্যাস পদ্ধতি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

  সুষম খাবার গ্রহণঃ

  1 মাসে 10 থেকে 15 কেজি ওজন কমানোর অন্যতম প্রধান উপায় এবং পূর্বশর্ত হচ্ছে  আপনাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। বেশি পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি খাবার চেষ্টা করুন।

চর্বি জাতীয় বা ফ্যাট জাতীয় খাবার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন। বাইরের তেলে ভাজা খাবার  খাদ্য তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিয়ে দিতে হবে। ফাস্টফুড যথাসম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুবেলার মধ্যবর্তী সময়ে খিদা লাগলে পপকর্ন,  ফল বা ফলের জুস খেতে পারেন।

ঝুলে পড়া স্তন টাইট করতে

  পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ

  দিনে কমপক্ষে 6 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে এর বেশি ঘুমালে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার  আশঙ্কা রয়েছে। দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাস পরিহার করুন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত ঘুম আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই নিয়ম মেনে রাতে জলদি ঘুমাতে যান এবং ভোরবেলা জেগে  পড়ুন।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার ক্রীম

  ব্যায়ামঃ

  1 মাসে 10 কেজি ওজন কমানোর জন্য   অন্যতম প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে ব্যায়াম। আমাদের শরীরকে যেমন ফিট রাখে ঠিক তেমনিভাবে আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই এক মাসে 10 কেজি ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে প্রতিদিন কম করে হলেও দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে।

এই সময়টুকুর মধ্যে আপনি হাঁটতে পারেন দৌড়াতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানো আদর্শ ব্যায়াম হিসেবে বিবেচিত হয়। ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে ঘরের বাইরে গিয়ে জিমনেসিয়ামে গিয়ে অথবা পার্কে গিয়ে ব্যায়াম করার কোন প্রয়োজন নেই আপনি ঘরের দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই নিজের ব্যায়াম সেরে নিতে পারবেন।

স্বাস্থ্যবান হওয়ার উপায়
স্বাস্থ্যবান হওয়ার উপায়

পানিঃ

  পরিমাণমতো ১ ঘন্টা অন্তর অন্তর পানি পান করুন। পানি আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পানি আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই  প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পানি রাখুন  এবং নিয়ম মেনে পানি পান করুন।

ব্রেস্ট টাইট করার উপায়

  চিনির পরিহার করুনঃ

  1 মাসে 10 কেজি ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকা থেকে চিনি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা আবশ্যক। কারণ মাত্র 1 চা চামচের 16% ক্যালরি থাকে । যা আপনার ওজন কমানোর সম্পূর্ণ অন্তরায়। তাই চা এবং দুধে চিনি পরিহার করুন।

সাদা চিনির অপকারিতা

 রাতে তাড়াতাড়ি খাবার চেষ্টা করুনঃ

  রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা পূর্বে রাতের খাবার শেষ করুন । কারন রাতে খাওয়ার সাথে সাথে যদি শুয়ে যান তাহলে আপনার ওজন অনেকাংশে বেড়ে যায়। রাতেরবেলা খিদে লাগলে ফলের জুস অথবা দুধ খেতে পারেন।

এক মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট প্লান

খাওয়ার পূর্বে পানি খানঃ

 খাবার গ্রহণের 10 থেকে 15 মিনিট পূর্বে পানি পান করুন। এতে আপনার হজমে সাহায্য হবে। যথাসম্ভব বাড়ীতে তৈরি খাবার খান। জাঙ্কফুড একেবারেই পরিহার করুন।

  অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুনঃ

  আপনার কি দর জন্য যেটুকু খাবার প্রয়োজন ঠিক ওই পরিমাণে খাবার খান। নিজের শরীরের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খেলে । আপনার ওজন অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। তাই এক মাসে 10 কেজি ওজন কমাতে । অতিরিক্ত খাবার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না

  ধীরেসুস্থে চিবিয়ে খানঃ

  খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত তাড়াহুড়া করে খাবার খাবেন না। খাবার ধীরেসুস্থে চিবিয়ে খাবেন এটি আপনার হজমে। সাহায্য করবে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

  গ্রিন টিঃ

 গ্রীন টি তে রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের ওজন কমাতে অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন চার কাপ করে গ্রিন টি 1 সপ্তা খেলে শরীর থেকে 400 গ্রাম ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। এটাই আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিদিনের  খাদ্য তালিকায় গ্রিন টি অবশ্যই রাখুন।

শীতে ওজন কমানোর উপায়

  অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার করুনঃ

 জেনে অবাক হবেন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে মানুষ বেশি খায় এবং তার ফলে মোটা হওয়া  বা ওজন বেড়ে যায়। তাই নিজেও স্বাস্থ্যকে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ফিট রাখতে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন।

মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব

  বাড়ির কাজ নিজে করুনঃ

  ওজন কমানোর অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন ঘর মোছা, ঘর ঝাড়ু দেয়া ইত্যাদি কাজ নিজে করার চেষ্টা করুন।

ব্রয়লার মুরগির ক্ষতিকর দিক

 এর ফল আপনি তাৎক্ষণিকভাবে না পেলেও দীর্ঘস্থায়ীভাবে এটি আপনার শরীরের ওজন কমাতে অনেক উপকারী।

সুস্থ ও সুন্দর এবং সুস্বাস্থ্য আমাদের সকলেরই কাম্য। যেটি শুধুমাত্র অতিরিক্ত ওজন ত্যাগ করে সম্ভবপর। তাই এক মাসে ১০কেজি ওজন কমাতে আমাদের নির্দেশিত পন্থা সমূহ অনুসরণ করুন। নিজের স্বাস্থ্যের ওজন কমিয়ে স্বাস্থ্যকে করে তুলুন সম্পূর্ণ সুস্থ, ফিট এবং আকর্ষণীয়।

  সুস্থ থাকুন।  ধন্যবাদ।

Leave a Comment