প্রতিদিন ১টি আপেল খাওয়ার উপকারিতা

আপেল খাওয়ার উপকারিতা

পৃথিবীতে কত প্রজাতির যে আপেল রয়েছে তা জানলে আপনারা শুধু অবাকই হবেন না!! বরং চোখ কপালে তুলে ফেলবেন। 

হ্যাঁ বন্ধুরা, পৃথিবীতে যত প্রজাতির আপেল রয়েছে, প্রত্যেক প্রজাতির আপেল থেকে যদি দিনে একটি করে আপেল খেয়ে থাকেন, তাহলে সব প্রজাতির আপেল শেষ করতে আপনার ১৫-২০ বছর সময় লাগবে। 

আপেল খাওয়ার উপকারিতা (3)

এটি আমার কথা নয়। এটা আমেরিকান জার্নালে প্রকাশিত একটি তথ্য।

আজ আপনাদের শেয়ার করব প্রতিদিন ১টি আপেল খাওয়ার উপকারিতা ।

আপেলের উপকারিতাঃ

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের আপেলের উৎপাদন হয়।  বাংলাদেশেও ঠিক তেমনি আপেলের উৎপাদন রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। যদিওবা আমাদের দেশে আপেলের উৎপাদন অন্যান্য দেশের চেয়ে কম, তারপরও আমাদের দেশে আপেলের চাহিদা অনেক বেশি।

ফল হিসাবে আপেল খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। তাই আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি আপেলের উপকারিতা নিয়ে………

শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে আপেল এর উপকারিতাঃ

শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে আপেল এর ভূমিকা অনেক বেশি। যদিও বা এ কথাটা প্রথম অনেকেই শুনেছেন, কিন্তু এটাই সত্যি।

যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বা ওষুধের মাধ্যমে শরীরে ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়, তারা কিন্তু শুধুমাত্র আপেল খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরল কমাতে পারেন।

প্রতিদিন ১টি আপেল খাওয়ার উপকারিতা

কারণ আপেলের মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরের কোলেস্ট্রল কমাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। 

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আপেলের উপকারিতাঃ

যাদের হার্ট দুর্বল বা বুকে ব্যথা জনিত সমস্যা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তারা প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে দুইটি করে আপেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এর ফলে আপেল থেকে নিঃসৃত রস যা আমাদের শরীরের হরমোন লেভেলকে ত্বরান্বিত করে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়িয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে আপেলের উপকারিতাঃ

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে বা যাদের বাথরুম করতে কষ্ট হয় অথবা যাদের বাথরুম ক্লিয়ার হয়না, খাবার হজম না হওয়ার কারণে, তারা কিন্তু পেটের অসুখ সারাতে আপেলকে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

আপেল খাওয়ার উপকারিতা (2)

আপেলের মধ্যে থাকা রস যেটা আমাদের শরীরে খাবার হজম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ভাত খাওয়ার পরে যদি আপনি একটি করে আপেল খেতে পারেন, এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করবে।

শরীরের যে কোন জায়গার পাথর জনিত সমস্যা কমাতে আপেল এর ভূমিকাঃ

আপনারা হয় তো অনেকেই জানেন না আপেল আমাদের শরীরে কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। যাদের গলব্লাডারে পাথর, কিডনিতে পাথর অথবা পাকস্থলীর বিভিন্ন জায়গায় পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তারা কিন্তু নিয়মিতভাবে আপেল খেতে পারেন।

এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত পরিমাণে দূষিত পদার্থ যা আপেলের রস শোষণ করে নিতে পারে ফলে পাথরজনিত সমস্যা থেকে মানব দেহকে দূরে রাখতে পারে। 

শরীরে ইনস্ট্যান্ট শক্তি বাড়াতে আপেলের জুস এর উপকারিতাঃ

দীর্ঘক্ষণ কাজ করার কারণে যদি শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে অথবা ব্যায়াম করার পরে যদি শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হয়ে দুর্বল লাগে, সে সময় যদি আপনি তাৎক্ষণাৎ আপেলের জুস খেয়ে নিতে পারেন, এটি আপনার শরীরে দ্রুত এনার্জী ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে। 

কারণ আপেলের মধ্যে থাকা শর্করা, ফ্যাট এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে দ্রুত এনার্জী ফেরাতে কাজ করে।

সুতরাং বন্ধুরা আপেল মাঝে মধ্যে না খেয়ে নিয়মিত খাবারের তালিকায় প্রতিদিন একটি অথবা দুইটি করে আপেল রাখার চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনার স্বাস্থ্য বর্তমানের চেয়ে আরো বেশি ভালো থাকবে এবং ভবিষ্যতেও নিরাপদে থাকবে।