প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস ও ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ একটি ফল হচ্ছে আনারস। শরীরের অনেক কঠিন সমস্যা সমাধান করে বলে আনারসের উপকারিতার কোন শেষ নেই।
অনেকে আনারসের উপকারিতা জানেনা বলে আনারস খাওয়া অনেকে অপছন্দ করে থাকে। তাই আজ আনারসের এমনকিছু উপকারিতার কথা আপনাদেরকে জানাবো যেগুলো জানার পর আপনারা আনারস খাওয়া অবশ্য শুরু করে দিবেন। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক আনারসের উপকারিতা গুলো কি কি????
আনারসের উপকারিতাঃ
আনারস অত্যন্ত রসালো ও সুস্বাদু ফল। আনারসের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালোরি থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। আনারসে অতিরিক্ত ফ্যাট একদম নেই। এটি কোলেস্ট্রল ও ফ্যাট মুক্ত একটি ফল। যার কারণে আনারস আমাদের ওজন কমাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে আনারসের উপকারিতাঃ
আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উচ্চমাত্রার পানিতে দ্রবণীয় এবং সাথে সাথে আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরে রক্তের কোষগুলোকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে।
আনারস কে কৃমিনাশক ও বলা হয়ে থাকেঃ
আনারসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের শরীরে কৃমি উৎপাত বন্ধ হতে কার্যকরীভাবে ভূমিকা রাখে। তাই যাদের শরীরে কৃমির সমস্যা দেখা যায় তারা সকাল বেলা খালি পেটে আনারসের রস খেতে পারেন। এটা আপনার কৃমির উৎপাত বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
হাড়ের কাঠিন্যতা বজায় রাখতে আনারসের উপকারিতাঃ
আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের হাড়ের কাঠিন্যতা বজায় রাখতে কাজ করে। তাই সুস্থ সবল দেহের অধিকারী হতে হলে অবশ্যই আপনাকে আনারস খেতে হবে।
ত্বকের যত্নে আনারসের উপকারিতাঃ
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকার কারণে এটি আমাদের ত্বকের কোষগুলোকে সবসময় উজ্জীবিত রাখে। ফলে ত্বক টানটান থাকে এবং ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। তাই আনারস খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়।
চোখের যত্নে আনারসের উপকারিতাঃ
আনারসের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান টি আমাদের চোখের রাতকানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি অনেক সময় চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে আনারস খেতে পারি তাহলে আনারসের রস আমাদের শরীরে গিয়ে আমাদের চোখের সমস্যা দূর করার কাজ করে।
ওজন কমাতে আনারসের উপকারিতাঃ
আনারস যেহেতু একটি ফ্যাটহীন ফল। তাই আনারস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করবে এবং বাড়তি কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি হওয়া থেকে আমাদেরকে রক্ষা করবে। যদি নিয়মিত আনারসের রস সেবন করা যায় তাহলে শরীরে মেদ বাড়া থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো।
সতর্কতাঃ যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা আছে তারা আনারস না খাওয়াই ভালো। আর বিশেষ করে আনারসের মধ্যে এসিডিটির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি আমাদের শরীরে গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই যাদের এসিডিটি প্রবলেম রয়েছে তারা আনারস খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।
অতএব বন্ধুরা, আজকে আনারসের যে উপকারীতার কথাগুলো আপনাদের কে জানালাম এগুলো স্মরণে রেখে নিজের সুস্থতার জন্য আনারস প্রতিদিন বিভিন্ন উপায়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এর ফলে আমাদের শরীর অনেক বেশি সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে।