রূপচর্চার জন্য অনন্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো অ্যালোভেরা। প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে। আর আধুনিক যুগে এসেও রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার কেউ ভুলেনি। অ্যালোভেরা ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করার জন্য কাজ করে ।
এটি ত্বককে ফর্সা করার সাথে সাথেই ত্বককে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। বন্ধুরা, আজকে প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেসপ্যাক বানানোর উপায় শেয়ার করব এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর করে ত্বককে ফর্সা করবে এবং ত্বকের দাগ দূর করবে।
বন্ধুরা , চলুন ফেইসপ্যাকটি তৈরি করে নিন ।
অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেসপ্যাক তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
- অ্যালোভেরা জেল -1 টেবিল চামচ
- কাঁচা হলুদ বাটা -1 চা চামচ
- মধু -1 চা চামচ
- ভিটামিন-ই একটি
- গোলাপ জল – কয়েক ফোঁটা
অ্যালোভেরা ও হলুদের ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি ব্যবহার করবেনঃ
- একটি পরিষ্কার বাটিতে সবগুলো উপাদান একসাথে নিতে হবে।
- সবগুলো উপাদান একসাথে নেবার পর এদেরকে ভালো করে মিক্স করতে হবে।
- প্যাকটি তৈরি হয়ে গেলে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে একটি ব্রাশের সাহায্যে এটি সারা মুখে লাগিয়ে নিন ।
- একটা সারা মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট অপেক্ষা করুন।
- মিনিট পর প্যাকটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ত্বক পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।
কিভাবে কাজ করবেঃ
অ্যালোভেরা জেলঃ
অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং প্রোপারটি যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে ত্বককে তুলতুলে নরম, কোমল ও মুলায়েম রাখে।
হলুদঃ
হলুদের মধ্যে খুব powerful অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট আছে যার কাজ হল ত্বক হতে রোদে পুড়া কালো দাগ,তামাটে ভাব ও ত্বকের কালচে রং দূর করে দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে ফর্সা করে তুলা।
আর হলুদের natural lightening property ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে এনে দিনের পর দিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
মধুঃ
মধুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট , যা ত্বক হতে কালচে ভাবকে দূর করে দিয়ে ত্বককে দিনদিন ফর্সা করে তুলে ।
আর মধুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে
ভিটামিন ইঃ
আর ভিটামিন ই ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করে ত্বককে ফর্সা উজ্জ্বল ও নরম করে তোলে। এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে অনেক ভালো কাজ করে।
গোলাপ জলঃ
সূর্যের আলোতে মানুষ,উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীদের জন্য উপকারী উপাদান থাকলেও সূর্যের আলোতে রয়েছে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি যা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি নামে পরিচিত ।
এই রশ্মি ত্বকের জন্য জঘন্য রকমের ক্ষতিকর উপাদান। এই রশ্মির অন্যতম একটি ক্ষতিকর দিক হলো এটি ত্বককে দ্রুত বয়সি করে তুলে অর্থাৎ ত্বকের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ নিয়ে আসে। তবে গোলাপ জলের ব্যবহারে ত্বক ইউভি রশ্মির ক্ষতিকর দিক হতে রক্ষা পায় এবং চেহারায় হতে বয়সের ছাপ দূর হয়ে ত্বক আরও বেশি ইয়াং হয়।
কোন ত্বকের জন্যঃ
স্বাভাবিক, তৈলাক্ত ও সনসেটিভ ত্বকের জন্য খুব উপকারি।
নোটঃ
ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন।